কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের কালিকাপুর ইউনিয়নের কিং ছুপুয়া গ্রামে মো. সুমন মিয়া নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে তার দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। অভিযুক্ত সুমন একই গ্রামের ছারু মিয়া ওরফে ছেরু মিয়ার ছেলে।
সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে “কিং ছুপুয়া সমাজ কল্যাণ পরিষদ” ও স্থানীয় যুবসমাজের উদ্যোগে আয়োজিত এ মানববন্ধনে শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। দীর্ঘদিন ধরে সুমনের মাদক ব্যবসা ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, সুমন দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে, এমনকি সম্প্রতি তিনি গ্রেফতারও হয়েছিলেন, কিন্তু জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও একই অপরাধে লিপ্ত হয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানান, মাদক ব্যবসার পাশাপাশি চাঁদাবাজি, হুমকি-ধমকি ও সমাজবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত সুমনের কারণে এলাকার শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে। নারী-শিশু থেকে শুরু করে সকল শ্রেণির মানুষ তার অত্যাচারে আতঙ্কিত।
মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসী চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন, যেখানে সুমনের দ্রুত গ্রেফতার ও কঠোর আইনি ব্যবস্থার দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক মো. হাসান মোরশেদ, ডা. আবদুল গফুর, আবুল খায়ের, আতাউর রহমান, আলী আশরাফ, আবদুর রাজ্জাক, আবদুল কাদের, আমান মিয়া, নুরুল আমিন, মো. নুরু মিয়া, হানিফ মিয়া, শফিকুর রহমান, জামাল হোসেন, মো. মোস্তফা মিয়া, আবু মিয়া, হারেছ মিয়া, হোসেন মিয়া, সিরাজ মিয়া, আবু তাহের তানু, ফটিক বাচ্চু, ছাদেক মিয়া, মো. ইউছুফ, মমতাজ মিয়া, কানু মিয়া, আকাব্বর আলী, ফজলুল হক, জয়নাল আবেদীন, সফিক মিয়া, শাহজী মিয়া, শহিদুল ইসলাম, রহিম মোল্লা, আবদুল হালিম, রমিজ মিয়া, আনোয়ার হোসেন, মহিন মিয়া, মো. ইকবাল হোসেন, জুয়েল রানা সোহাগ, নাহিয়ান, জাহিদ হাসান, শাহজাহান, আবু বকর, মো. কবির, আরিফুর রহমান, মো. রাফি, সোহেল, রুবেল, ইসমাইল হোসেনসহ অনেকে।
এছাড়া, কিং ছুপুয়া গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ মুরুব্বি, যুবসমাজের নেতৃবৃন্দ, নারী ও শিশু সহ বিপুলসংখ্যক এলাকাবাসী মানববন্ধনে অংশ নেন।
এলাকাবাসীর একটাই দাবি—সুমন মিয়াকে দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক, যাতে এলাকায় শান্তি ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরে আসে। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা বলেন, এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আরও বড় আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে।