ঢাকা , সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চৌদ্দগ্রামে যৌথবাহিনীর অভিযানে গাঁজা-ইয়াবা সহ চিহিৃত ৪ মাদক কারবারি আটক Logo চৌদ্দগ্রামে মৃত ভাইয়ের লাশ নিয়ে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলো আরও ২ ভাই Logo চৌদ্দগ্রাম সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয় নাগরিক আটক  Logo চৌদ্দগ্রামে খাল থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার Logo কুমিল্লা মুরাদনগরে এক পরিবারের ৩ জনকে হত্যা Logo চৌদ্দগ্রামে ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল ও ফ্যাকো সেন্টারের উদ্বোধন Logo চৌদ্দগ্রামে এক নারীকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা, রং মিস্ত্রি আটক Logo দেশব্যাপী জিরো টলারেন্স অভিযান: পুলিশের পেশাদারিত্বে ফিরছে জনআস্থা Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় উন্নত হবে শিক্ষার মান : চৌদ্দগ্রামে সেতু সচিব আব্দুর রউফ Logo চৌদ্দগ্রামে কালিকাপুর ইউনিয়ন ১ ও ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত 

অগ্নিকাণ্ডে পরিবার হারানো ওয়ালিদ বসতভিটায় যেতে পারছেন না

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আনন্দপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুরো পরিবার হারানো মাদ্রাসা ছাত্র ওয়ালিদ তার আপন জেঠা আব্দুল হালিমের ভয়ে বাবার বসতভিটায় যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে মামার সঙ্গে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ অভিযোগ করেন।

ওয়ালিদের মামা মনজুর আহমেদ মানিক জানান, “২০২১ সালে ঢাকায় ভয়াবহ এক অগ্নিকাণ্ডে ওয়ালিদের বাবা আব্দুল মতিন, মা ও বোন আগুনে পুড়ে মারা যান। তখন ওয়ালিদ একটি মাদ্রাসার আবাসিকে থাকায় প্রাণে বেঁচে যায়। তার বাবা মৃত্যুর আগে ইতালি প্রবাসী ইয়াকুব আলী খোকনের বাবা মোবারক হোসেনের কাছে বসতভিটার একটি অংশ বায়নাপত্রের মাধ্যমে বিক্রি করেন। তবে সাফ কবলা দলিল সম্পন্ন হওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। এখন আমরা ওয়ালিদের বাবার দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে চাই।”

ওয়ালিদ অভিযোগ করে বলেন, “আমি ১৮ বছর পূর্ণ হলে বাবার দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মোবারক জেঠাকে (ইয়াকুব আলীর পিতা) জমির কবলা দলিল হস্তান্তর করবো। কিন্তু আমার আপন জেঠা আব্দুল হালিম আমাকে বাবার বসতভিটায় যেতে দিচ্ছেন না এবং বাবার দোকানের ভাড়াও আত্মসাৎ করছেন। আমি মারা গেলে আমার বাবার আর কোনো উত্তরাধিকার থাকবে না। তাই আমি জেঠার ভয়ে নিজের বাড়িতেই যেতে পারছি না।”

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওয়ালিদের আপন জেঠা আব্দুল হালিম। রোববার (৯ মার্চ) বিকেলে তিনি বলেন, “আমি তো অনেক দিন ভাতিজাকে দেখিনি। তাকে নিয়ে এসে গ্রামবাসীর সামনে কথা বললেই প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।”

এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন জানান, “অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয়দের অনেকে জানিয়েছেন, ওয়ালিদের পরিবারের অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর পর থেকে তাদের সম্পত্তি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ নিলে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তারা।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

চৌদ্দগ্রামে যৌথবাহিনীর অভিযানে গাঁজা-ইয়াবা সহ চিহিৃত ৪ মাদক কারবারি আটক

অগ্নিকাণ্ডে পরিবার হারানো ওয়ালিদ বসতভিটায় যেতে পারছেন না

আপডেট সময় ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আনন্দপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুরো পরিবার হারানো মাদ্রাসা ছাত্র ওয়ালিদ তার আপন জেঠা আব্দুল হালিমের ভয়ে বাবার বসতভিটায় যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে মামার সঙ্গে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ অভিযোগ করেন।

ওয়ালিদের মামা মনজুর আহমেদ মানিক জানান, “২০২১ সালে ঢাকায় ভয়াবহ এক অগ্নিকাণ্ডে ওয়ালিদের বাবা আব্দুল মতিন, মা ও বোন আগুনে পুড়ে মারা যান। তখন ওয়ালিদ একটি মাদ্রাসার আবাসিকে থাকায় প্রাণে বেঁচে যায়। তার বাবা মৃত্যুর আগে ইতালি প্রবাসী ইয়াকুব আলী খোকনের বাবা মোবারক হোসেনের কাছে বসতভিটার একটি অংশ বায়নাপত্রের মাধ্যমে বিক্রি করেন। তবে সাফ কবলা দলিল সম্পন্ন হওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। এখন আমরা ওয়ালিদের বাবার দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে চাই।”

ওয়ালিদ অভিযোগ করে বলেন, “আমি ১৮ বছর পূর্ণ হলে বাবার দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মোবারক জেঠাকে (ইয়াকুব আলীর পিতা) জমির কবলা দলিল হস্তান্তর করবো। কিন্তু আমার আপন জেঠা আব্দুল হালিম আমাকে বাবার বসতভিটায় যেতে দিচ্ছেন না এবং বাবার দোকানের ভাড়াও আত্মসাৎ করছেন। আমি মারা গেলে আমার বাবার আর কোনো উত্তরাধিকার থাকবে না। তাই আমি জেঠার ভয়ে নিজের বাড়িতেই যেতে পারছি না।”

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওয়ালিদের আপন জেঠা আব্দুল হালিম। রোববার (৯ মার্চ) বিকেলে তিনি বলেন, “আমি তো অনেক দিন ভাতিজাকে দেখিনি। তাকে নিয়ে এসে গ্রামবাসীর সামনে কথা বললেই প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।”

এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন জানান, “অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয়দের অনেকে জানিয়েছেন, ওয়ালিদের পরিবারের অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর পর থেকে তাদের সম্পত্তি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ নিলে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তারা।