কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আনন্দপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুরো পরিবার হারানো মাদ্রাসা ছাত্র ওয়ালিদ তার আপন জেঠা আব্দুল হালিমের ভয়ে বাবার বসতভিটায় যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে মামার সঙ্গে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ওয়ালিদের মামা মনজুর আহমেদ মানিক জানান, “২০২১ সালে ঢাকায় ভয়াবহ এক অগ্নিকাণ্ডে ওয়ালিদের বাবা আব্দুল মতিন, মা ও বোন আগুনে পুড়ে মারা যান। তখন ওয়ালিদ একটি মাদ্রাসার আবাসিকে থাকায় প্রাণে বেঁচে যায়। তার বাবা মৃত্যুর আগে ইতালি প্রবাসী ইয়াকুব আলী খোকনের বাবা মোবারক হোসেনের কাছে বসতভিটার একটি অংশ বায়নাপত্রের মাধ্যমে বিক্রি করেন। তবে সাফ কবলা দলিল সম্পন্ন হওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। এখন আমরা ওয়ালিদের বাবার দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে চাই।”
ওয়ালিদ অভিযোগ করে বলেন, “আমি ১৮ বছর পূর্ণ হলে বাবার দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মোবারক জেঠাকে (ইয়াকুব আলীর পিতা) জমির কবলা দলিল হস্তান্তর করবো। কিন্তু আমার আপন জেঠা আব্দুল হালিম আমাকে বাবার বসতভিটায় যেতে দিচ্ছেন না এবং বাবার দোকানের ভাড়াও আত্মসাৎ করছেন। আমি মারা গেলে আমার বাবার আর কোনো উত্তরাধিকার থাকবে না। তাই আমি জেঠার ভয়ে নিজের বাড়িতেই যেতে পারছি না।”
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওয়ালিদের আপন জেঠা আব্দুল হালিম। রোববার (৯ মার্চ) বিকেলে তিনি বলেন, “আমি তো অনেক দিন ভাতিজাকে দেখিনি। তাকে নিয়ে এসে গ্রামবাসীর সামনে কথা বললেই প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।”
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন জানান, “অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়দের অনেকে জানিয়েছেন, ওয়ালিদের পরিবারের অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর পর থেকে তাদের সম্পত্তি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ নিলে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তারা।