ঢাকা , সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চৌদ্দগ্রামে যৌথবাহিনীর অভিযানে গাঁজা-ইয়াবা সহ চিহিৃত ৪ মাদক কারবারি আটক Logo চৌদ্দগ্রামে মৃত ভাইয়ের লাশ নিয়ে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলো আরও ২ ভাই Logo চৌদ্দগ্রাম সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয় নাগরিক আটক  Logo চৌদ্দগ্রামে খাল থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার Logo কুমিল্লা মুরাদনগরে এক পরিবারের ৩ জনকে হত্যা Logo চৌদ্দগ্রামে ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল ও ফ্যাকো সেন্টারের উদ্বোধন Logo চৌদ্দগ্রামে এক নারীকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা, রং মিস্ত্রি আটক Logo দেশব্যাপী জিরো টলারেন্স অভিযান: পুলিশের পেশাদারিত্বে ফিরছে জনআস্থা Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় উন্নত হবে শিক্ষার মান : চৌদ্দগ্রামে সেতু সচিব আব্দুর রউফ Logo চৌদ্দগ্রামে কালিকাপুর ইউনিয়ন ১ ও ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত 

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে পরিবারের সাথে অভিমান করে বিষপান করে প্রাণ হারিয়েছেন আমেনা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূ। মর্মান্তিক এ ঘটনা উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের বৈলপুর গ্রামে ঘটে। নিহত আমেনা মো. জসিম উদ্দিনের মেয়ে।

শনিবার (১৫ মার্চ) বিকালে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে অভিমান করে শুক্রবার দিবাগত রাতে সকলের অগোচরে আমেনা বিষপান করেন। সকালে পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে গুরুতর অবস্থায় তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মা-বাবা ও স্বজনরা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন।

নিহত আমেনার বাবা মো. জসিম উদ্দিন জানান, পাঁচ বছর আগে মেয়ের বিয়ে হয়েছিল। দাম্পত্য জীবনে তার দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। ছোট ছেলেটির বয়স মাত্র দুই মাস। স্বামী-সন্তানসহ বাড়ির পাশেই একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন আমেনা। সামান্য ঝগড়াকে কেন্দ্র করেই রাগান্বিত হয়ে এমন চরম সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

গৃহবধূর বিষপানে আত্মহত্যার খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের একটি টিম দ্রুত হাসপাতালে যায়। সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। ইতোমধ্যে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।”

পারিবারিক কলহের জেরে এমন মর্মান্তিক ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে জন্য পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সচেতনতার গুরুত্ব তুলে ধরছেন স্থানীয়রা।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

চৌদ্দগ্রামে যৌথবাহিনীর অভিযানে গাঁজা-ইয়াবা সহ চিহিৃত ৪ মাদক কারবারি আটক

আপডেট সময় ০৬:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে পরিবারের সাথে অভিমান করে বিষপান করে প্রাণ হারিয়েছেন আমেনা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূ। মর্মান্তিক এ ঘটনা উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের বৈলপুর গ্রামে ঘটে। নিহত আমেনা মো. জসিম উদ্দিনের মেয়ে।

শনিবার (১৫ মার্চ) বিকালে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে অভিমান করে শুক্রবার দিবাগত রাতে সকলের অগোচরে আমেনা বিষপান করেন। সকালে পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে গুরুতর অবস্থায় তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মা-বাবা ও স্বজনরা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন।

নিহত আমেনার বাবা মো. জসিম উদ্দিন জানান, পাঁচ বছর আগে মেয়ের বিয়ে হয়েছিল। দাম্পত্য জীবনে তার দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। ছোট ছেলেটির বয়স মাত্র দুই মাস। স্বামী-সন্তানসহ বাড়ির পাশেই একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন আমেনা। সামান্য ঝগড়াকে কেন্দ্র করেই রাগান্বিত হয়ে এমন চরম সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

গৃহবধূর বিষপানে আত্মহত্যার খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের একটি টিম দ্রুত হাসপাতালে যায়। সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। ইতোমধ্যে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।”

পারিবারিক কলহের জেরে এমন মর্মান্তিক ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে জন্য পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সচেতনতার গুরুত্ব তুলে ধরছেন স্থানীয়রা।