চৌদ্দগ্রাম থানার বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ আহমেদ শাহিন একজন নির্ভীক সংগ্রামী রাজনীতিবিদ, যিনি জীবনভর লড়েছেন গণতন্ত্র, ন্যায় এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। দেশীয় রাজনীতির মাঠ থেকে শুরু করে বিদেশের অচেনা মাটিতেও তিনি সবসময় ছিলেন অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠ।
শাহিনের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয়েছিল ছাত্রজীবন থেকেই। নব্বইয়ের গণআন্দোলন ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের দিনগুলোতে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েন সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে। তখন থেকেই তিনি বিশ্বাস করতেন— রাজনীতি মানে মানুষের জন্য আত্মত্যাগ, রাজনীতি মানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে নির্ভীক প্রতিবাদ।
দেশে যখন আন্দোলন চলছিল, তখন সরকারের দমন-পীড়ন তাকে বাধ্য করে বিদেশের মাটিতে পাড়ি জমাতে। কিন্তু তাতেই তার সংগ্রাম থেমে যায়নি। বরং প্রবাসে গিয়েই তিনি নতুনভাবে সংগঠিত হন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে নিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের মঞ্চ তৈরি করেন। বিদেশের মাটিতে অনেকবার তিনি লাঞ্ছিত হয়েছেন, অপমানের শিকার হয়েছেন, কখনও কখনও ভয়াবহ নির্যাতনও সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনোদিন ভেঙে পড়েননি।
সহকর্মীদের ভাষায়, “ফরিদ আহমেদ শাহিন হচ্ছেন আমাদের আন্দোলনের এক মহানায়ক। বিদেশের মাটিতে থেকেও তিনি লড়াই চালিয়ে গেছেন। অপমান-লাঞ্ছনা তার মনোবল ভেঙে দিতে পারেনি।”
শাহিনের জীবনের বড় একটি অংশ কেটেছে সংগ্রাম, ত্যাগ আর অশ্রু দিয়ে। কিন্তু তার বিশ্বাস অটল—একদিন এই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবেই, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবেই। তার এই অদম্য বিশ্বাসই তাকে প্রতিনিয়ত লড়াই চালিয়ে যেতে প্রেরণা দেয়।
চৌদ্দগ্রামের মানুষ আজও তাকে নিজেদের গর্ব মনে করে। তারা বলেন, “শাহিন ভাই শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, তিনি আমাদের প্রেরণা। তার জীবনকাহিনী আগামী প্রজন্মকে সাহস জোগাবে।”
রাজনীতির মাঠে তার যাত্রা এখনো চলমান। দেশ-বিদেশের অগণিত কর্মী-সমর্থকের ভালোবাসা আর আস্থাই তার মূল শক্তি। ফরিদ আহমেদ শাহিন প্রমাণ করেছেন— যেখানেই থাকুন না কেন, সত্য ও ন্যায়ের লড়াই
কখনো থামে না।