যখন রাজনীতি অনেক সময়ই ক্ষমতা ও স্বার্থের খেলায় পরিণত হয়েছে, তখন ঠিক সেই মুহূর্তেই ফারুক ভাইয়ের মতো একজন নেতা আমাদের চোখে আশার আলো দেখান। তিনি শুধু একজন বিএনপি নেতা নন, তিনি গরিব দুঃখীর আপনজন, এক নির্ভরতার নাম।
ছোটবেলা থেকেই মানবসেবার প্রতি এক অদ্ভুত টান ছিল ফারুক ভাইয়ের। গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে এসে রাজনীতিতে পা রাখলেও কখনও ভোলেননি নিজের শেকড়কে। প্রতিটি ঈদে, শীতে, বন্যায় কিংবা করোনার মতো দুর্যোগে তিনি হাজির হয়েছেন সাধারণ মানুষের পাশে — একটিবারের জন্যও পিছু হটেননি।
স্থানীয়ভাবে ‘ফারুক ভাই’ নামে পরিচিত এই মানুষটি বিনা স্বার্থে অসংখ্য মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর গল্প তৈরি করেছেন। কেউ অসুস্থ হলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের জন্য বই ও ইউনিফর্ম কিনে দিয়েছেন, এমনকি করোনাতেও ঘরে ঘরে গিয়ে চাল-ডাল পৌঁছে দিয়েছেন নিজ হাতে।
রাস্তার পাশে শুয়ে থাকা টোকাই ছেলে বলেন। ফারুক মামা এমন একজন মানুষ। আমরা তাকে কখনো ভুলতে পারবো না। আমরা যখন রাস্তায় শুয়ে থাকি ভাত খেতে পারি না কাপড় পড়তে পারি না তখন ফারুক মামা আমাদেরকে কিনে দেয়। আমাদের অনেক সময় গোসল করিয়ে দেয় ফারুক মামা। আমাদের সেবাযত্ন করে। কারণ আমাদের তো মা-বাবা কেউ নেই আমরা রাস্তায় থাকি । মানুষ আমাদেরকে অনেক অবহেলা করে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয় আমরা অবহেলিত কারণ আমাদের রাস্তায় থাকতে হয়। এই ফারুক মামা আমাদেরকে দেখাশোনা করেন । তাই আমরা ফারুক মামার জন্য দোয়া করি
ফারুক সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে বলেন, “মানুষের ভালোবাসা পাওয়াই আমার রাজনীতি। নেতার চেয়ে আমি একজন সেবক হতে চাই।” এই শব্দগুলো শুধু কথার ফুলঝুরি নয় — তার প্রতিটি কাজে সেটা প্রতিফলিত হয়।
বর্তমানে তিনি শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, বরং এলাকার প্রতিটি মানুষের নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। রাজনীতির এই চিত্র যদি দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে, তবে হয়তো আমাদের সমাজটা একদিন সত্যিকার অর্থেই বদলে যাবে।