ঢাকা , সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চৌদ্দগ্রাম বিএনপির সম্মেলনে আবদুর রাজ্জাক রাশেদের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মনোনয়ন সংগ্রহ Logo উদয়ন সংগীত একাডেমীর পাঁচ বছর পূর্তি উদযাপন Logo চৌদ্দগ্রামে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত Logo ফরিদ আহমেদ শাহিন –সংগ্রামী জীবনের প্রতীক, প্রবাসেও যিনি লড়েছেন ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে Logo বিএনপি’র পৌরসভা দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী আমিনুল ইসলাম ছুটু Logo দোহা ভাই ,অসংখ্য মানুষের ভালোবাসায় বেঁচে থাকা এক গুণী মানুষ Logo চৌদ্দগ্রামে ত্যাগী নেতা আবদুর রাজ্জাক রাশেদ: বিএনপির নির্ভরযোগ্য ভরসা Logo গরিব দুঃখীর আপনজন, বিএনপি’র ফারুক ভাই: এক নিঃস্বার্থ সমাজসেবকের গল্প Logo চৌদ্দগ্রামে সাংবাদিক মামুনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া-মিলাদ অনুষ্ঠিত Logo চৌদ্দগ্রামে বিনাধান-১৯, ২১ ও ব্রি ধান-৪৮ এর মূল্যায়ন শীর্ষক মাঠ দিবস পালিত

কয়রায় তরমুজ চাষে সম্ভাবনা;আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের 

দক্ষিণ খুলনার সমুদ্র উপকূলীয় সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রায়, তরমুজ চাষে ভালো ফলনের আশায় তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। লবনাক্ত অঞ্চল হিসেবে বিগত দিনগুলোতে তরমুজ চাষের জন্য কোন চিন্তাই করতেন না বর্তমানে এ অঞ্চলে বিলের পর বিল তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে এবং ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। বছর আটের আগে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে শুধুমাত্র আমাদী ইউনিয়নের চন্ডিপুর, হাতিয়ায়ডাঙা, নাকশা, পাটনিখালি, বেজপাড়া, শুড়িখালি, হরিনগর বিলে তরমুজ চাষ শুরু হয়। আশানুরূপ ফলন হওয়ায় পর্যায়ক্রমে আরও ৫টি ইউনিয়নে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে তরমুজের চাষ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা জানান, গত বছর খরার মধ্যেও ভালো ফলন হওয়ায় এ বছর তরমুজ চাষে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে আমাদী ইউনিয়নের ৯০০, বাগালী ইউনিয়নে ৬৫, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নে ৭, মহারাজপুরে ৩, কয়রা সদরে ৩, ও উত্তর বেদকাশীতে দেড় হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করছেন কৃষকরা।এ বছর ৯৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।গত বছর

লক্ষমাত্রা ছিল ৮৫০ হেক্টর।এ বছর ১০০ হেক্টর জমিতে বেশি তরমুজ চাষ হয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, তরমুজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। জমি প্রস্তুত শেষে নারী ও শিশুরাও তরমুজের বীজ বপনের কাজে মাঠে নেমে পড়েছে। বেশির ভাগ জমিতে বীজ বপন করা হয়ে গেছে। বীজ বপন হয়ে যাওয়া জমিগুলোতে সার, পানি ও কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে। মাঝে মধ্যে গাছের পাতা বেরিয়ে ডগিয়ে যেতে দেখা গেছে।

আমাদি ইউনিয়নের চন্ডীপুর গ্রামের হরিদাস বিশ্বাস নামের এক তরমুজচাষী বলেন, আমার দুই বিঘা জমিসহ তিন বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। ৯ হাজার ৩০০ টাকা দিয়ে পাকিজা ও সুপার ড্রাগন জাতের তরমুজের বীজ কিনে দুই বিঘায় পাকিজা এবং এক বিঘায় সুপার ড্রাগন জাতের তরমুজের বীজ বপন করেছি। কিছু বীজ থেকে চারা গজিয়েছে। দুই-একদিনের মধ্য সব বীজ থেকেই চারা গজিয়ে যাবে। এ বছর আবহাওয়া তরমুজ চাষের অনুকূল। আশা করছি বেশ ভালো ফলন হবে।

বাগালী ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রামের আবু বকর নামের এক কৃষক বলেন, গত বছর সাড়ে তিন বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল। এ বছর আরও বেশি লাভের আশায় নিজের ৩০ হাজার টাকাসহ সমিতি থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ এবং হাজারে ৫০ টাকা হারে মাসিক সুদে ২০ হাজার টাকা নিয়ে ১১ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। কয়েক দিনের মধ্য জমিতে বপন করা বীজ থেকে তরমুজের চারা বের হবে বলে আশা করছি।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ সুত্রে জানা গেছে,

এ বছর উপজেলার আমাদী, বাগালী ও মহারাজপুর ইউনিয়নে ব্যাপক ভাবে তরমুজের চাষ হচ্ছে। গত বছর কৃষকেরা তরমুজ চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছিল। ফলে এ বছর উপজেলায় গতবারের তুলনায় বেশি জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত অনুকূলে থাকলে এ বছরও উৎপাদন অনেক ভালো হবে, এবং চাষীদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

 

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চৌদ্দগ্রাম বিএনপির সম্মেলনে আবদুর রাজ্জাক রাশেদের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মনোনয়ন সংগ্রহ

কয়রায় তরমুজ চাষে সম্ভাবনা;আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের 

আপডেট সময় ০৩:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দক্ষিণ খুলনার সমুদ্র উপকূলীয় সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রায়, তরমুজ চাষে ভালো ফলনের আশায় তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। লবনাক্ত অঞ্চল হিসেবে বিগত দিনগুলোতে তরমুজ চাষের জন্য কোন চিন্তাই করতেন না বর্তমানে এ অঞ্চলে বিলের পর বিল তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে এবং ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। বছর আটের আগে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে শুধুমাত্র আমাদী ইউনিয়নের চন্ডিপুর, হাতিয়ায়ডাঙা, নাকশা, পাটনিখালি, বেজপাড়া, শুড়িখালি, হরিনগর বিলে তরমুজ চাষ শুরু হয়। আশানুরূপ ফলন হওয়ায় পর্যায়ক্রমে আরও ৫টি ইউনিয়নে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে তরমুজের চাষ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা জানান, গত বছর খরার মধ্যেও ভালো ফলন হওয়ায় এ বছর তরমুজ চাষে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে আমাদী ইউনিয়নের ৯০০, বাগালী ইউনিয়নে ৬৫, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নে ৭, মহারাজপুরে ৩, কয়রা সদরে ৩, ও উত্তর বেদকাশীতে দেড় হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করছেন কৃষকরা।এ বছর ৯৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।গত বছর

লক্ষমাত্রা ছিল ৮৫০ হেক্টর।এ বছর ১০০ হেক্টর জমিতে বেশি তরমুজ চাষ হয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, তরমুজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। জমি প্রস্তুত শেষে নারী ও শিশুরাও তরমুজের বীজ বপনের কাজে মাঠে নেমে পড়েছে। বেশির ভাগ জমিতে বীজ বপন করা হয়ে গেছে। বীজ বপন হয়ে যাওয়া জমিগুলোতে সার, পানি ও কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে। মাঝে মধ্যে গাছের পাতা বেরিয়ে ডগিয়ে যেতে দেখা গেছে।

আমাদি ইউনিয়নের চন্ডীপুর গ্রামের হরিদাস বিশ্বাস নামের এক তরমুজচাষী বলেন, আমার দুই বিঘা জমিসহ তিন বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। ৯ হাজার ৩০০ টাকা দিয়ে পাকিজা ও সুপার ড্রাগন জাতের তরমুজের বীজ কিনে দুই বিঘায় পাকিজা এবং এক বিঘায় সুপার ড্রাগন জাতের তরমুজের বীজ বপন করেছি। কিছু বীজ থেকে চারা গজিয়েছে। দুই-একদিনের মধ্য সব বীজ থেকেই চারা গজিয়ে যাবে। এ বছর আবহাওয়া তরমুজ চাষের অনুকূল। আশা করছি বেশ ভালো ফলন হবে।

বাগালী ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রামের আবু বকর নামের এক কৃষক বলেন, গত বছর সাড়ে তিন বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল। এ বছর আরও বেশি লাভের আশায় নিজের ৩০ হাজার টাকাসহ সমিতি থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ এবং হাজারে ৫০ টাকা হারে মাসিক সুদে ২০ হাজার টাকা নিয়ে ১১ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। কয়েক দিনের মধ্য জমিতে বপন করা বীজ থেকে তরমুজের চারা বের হবে বলে আশা করছি।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ সুত্রে জানা গেছে,

এ বছর উপজেলার আমাদী, বাগালী ও মহারাজপুর ইউনিয়নে ব্যাপক ভাবে তরমুজের চাষ হচ্ছে। গত বছর কৃষকেরা তরমুজ চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছিল। ফলে এ বছর উপজেলায় গতবারের তুলনায় বেশি জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত অনুকূলে থাকলে এ বছরও উৎপাদন অনেক ভালো হবে, এবং চাষীদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।