বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির আজ সপ্তম দিন।সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ ইলিয়াস রাজের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রিমা খাতুন এর পরিচালনায় এ লাগাতার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সমন্বয় পরিষদের পক্ষ থেকে সারা দেশে অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমূহের স্বীকৃতি ও এমপিও ভুক্তিসহ ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে অবস্থান কর্মসূচি বলে জানা নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, গত ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিদ্যালয় সময় স্বীকৃতি ও ত্রীয় প্রজ্ঞাপন জারি করে এবং আবেদন গ্রহণ করেন। উক্ত প্রজ্ঞাপনের প্রেক্ষিতে ২৭৪১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবেদন করে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক যাচাই-বাছাই আনতে ৭২ টি আবেদন গ্রহণ করে । পরবর্তীতে বিশেষ শিক্ষানীতিমালা ২০১৯ এর আলোকে স্বীকৃতি ও এমপি ও কমিটি গঠন করে এগুলোকে ক খ গ ঘ এই তিন শ্রেণীতে বিভক্ত করে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় কার্যক্রম শুরু করে। যা অত্যন্ত ধীরগতির। ফলে সারাদেশে ৬৩ হাজার শিক্ষক কর্মচারী অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছে এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষাক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। ইতিপূর্বে স্বীকৃতি প্রাপ্ত ৫৭ টি এবং স্বীকৃতিবিহীন ১৭৭২ টি অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় এমপিও ভুক্তির জন্য অদ্যবধি কোন সূরাহা হয়নি। মানবেতর জীবনযাপনকারী শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ তাদের নিজেদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও শিক্ষাদানের মাধ্যমে শিক্ষা নিতে বা বাস্তবায়নের জন্য এই কর্মসূচী।
তাদের দাবি সমূহ:
১। অনতিবিলম্বে সকল বিশেষ (অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিও ভুক্তি সুনিশ্চিত করতে হবে ।
২। সকল বিশেষ বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো সুনিশ্চিত করতে হবে
৩। দেশের শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম শিক্ষা ভাতা ৩ হাজার টাকা নিশ্চিত করতে হবে।
৪। শিক্ষার্থীদের মিড ডে মিলসহ শিক্ষা উপকরণ, খেলাধুলা সরঞ্জাম প্রদান ও থেরাপি সেন্টার বাস্তবায়ন করতে হবে।
৫। ছাত্র-ছাত্রীদের ভোকেশনাল শিক্ষা কারিকুলাম এর আওতায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে।
নেত্রবৃন্দ বলেন, আমরা সাত দিন যাবত প্রেসক্লাবের সামনে আমাদের দাবি নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা দিনরাত অবস্থান করছি। এখনো পর্যন্ত সরকারের কোন লোক এসে আমাদের সাথে কথা বলে নাই। আমাদের কোন আশ্বস্ত করে নাই। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত এখান থেকে যাব না।
আসছে রমজান মাসে আমরা এখানেই থাকবো এমনকি ঈদ ও এখানে কাটাবো।