মিরপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অভিযানে ১০০ একর জায়গা উদ্ধার 
মোক্তার হোসেন,কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি 
খুলনার কয়রা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ইট,বালু,খোয়া পরিবহন কারী লাইসেন্স বিহীন ট্রলির বেপরোয়া গতিতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। প্রশাসনের নজরদারীর তোয়াক্কা না করে পাইকগাছার ইট ভাঁটা থেকে নিয়মিত ইট নিয়ে আসছে।
কয়রা মদিনাবাদ লঞ্চঘাট থেকে বালু, খোয়া বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছে কয়রার বিভিন্ন গ্রামে এসময় ট্রলির বেপরোয়া গতির কারণে দূর্ঘটনার কবলে পড়ছে পথচারীরা। গত ১৫ দিনে অবৈধ ট্রলির ধাক্কায় ১ বৃদ্ধা নারী নিহত, আরও ২ জন আহত হন।কয়রা সদর ফুলতা গ্রাম, মহারাজ পুর ইউনিয়নের দেয়াড়া গ্রামের স্থানীয় কয়েক জন বাসিন্দা-দের সাথে কথা হলে তারা অভিযোগ করে বলেন এসব লাইসেন্স বিহীন ট্রলি রাস্তা দিয়ে যখন চলে মনে হয় বাস,মোটরসাইকেল তাদের সাথে চালিয়ে পারবেনা।
কাদের সহযোগিতায় এতো বেপরোয়া গতিতে ট্রলি চালাচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে ও ট্রলি ড্রাইভার দের আইনের আওতায় আনতে পারলে দূর্ঘটনা থেকে বেচে যাবে সাধারণ মানুষ।
গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার কালনা বাজার এলাকায় ট্রলির ধাক্কায় নিহত হন রিজিয়া (৬৫) এক নারী উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের মঠবাড়ি গ্রামের আঃ মজিদ গাজীর স্ত্রী। ঐ দূর্ঘটনাই মদিনাবাদ গ্রামের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আবু বকর গাজী (৫৮) নামে আরও একজন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কয়রা উপজেলা সদর থেকে একটি ট্রলি বেপরোয়া দ্রুত গতিতে চাঁদআলীর দিকে যাওয়ার সময় কালনা আমিনিয়া কামিল মাদ্রাসার পাশের রাস্তা দিয়ে একজন বৃদ্ধা মহিলা সড়কের উপর উঠলে পিছন দিক থেকে ট্রলির ধাক্কায় পাকা রাস্তার উপর পড়ে যায়।
ট্রলির ধাক্কায় তিনি সড়কের উপর পড়ে গেলে তার মাথায় আঘাত ও শরীরের উপর দিয়ে পিছনের চাকায় চাপা দিয়ে যায় । এছাড়া ওই সময় ট্রলি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের কাঁচামাল বিক্রেতা আবু বকর গাজী ট্রলির আঘাতে আহত হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে পাঠান এবং ঘাতক ট্রলিটি আটকিয়ে রাখে।
নিহতের ছেলে আমিরুল ইসলাম জানান, তার মা গতকাল কালনা মাদ্রাসার মাহফিল শুনতে এক আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন। বিকালে ফেরার পথে কয়রা-পাইকগাছা প্রধান সড়কে উঠলে পিছন থেকে ট্রলি ধাক্কা দেয় তাৎক্ষণিক তাকে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাকে মৃত মৃত ঘোষণা করে। এদিকে কয়রা উপজেলার বাঁশখালী গ্রামের মৃত্যু নুর গাজীর পুত্র আঃ রহিম (৩০) নামের আরও একজন ট্রলির ধাক্কায় আহত হয়ে হসপিটালের কাতরাচ্ছে
তিনি অন্যর মৎস্য ঘেরের কর্মচারী হিসাবে কাজ করেন। সেই ঘেরের মাছ মটর সাইকেল যোগে আড়তে বিক্রি করতে যাওয়ার পথে ঘাতক এক ইটের ট্রলি মোটর সাইকেলে আঘাত করে। মুহুর্তে সেখানে আঃ রহিম ছিটকে পড়ে গেলে তার মাথায় ট্রলি ধাক্কা দেয়।
ঘটনাস্থল হতে স্থানীয়রা তাকে মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। মারাত্মক অবস্থা দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
তাৎক্ষণিক সেখান থেকে তার স্বজনরা খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার জন্য। কয়রা থানা ইনচার্জ জী, এম এমদাদুল হক বলেন সড়ক আইনে ড্রাইভার পাইকগাছা উপজেলা রাড়ুলি গ্রামের কৃষ্ণপদ দাসের ছেলে দেবদাসের নামে ও অজ্ঞাত আরেক জনের নামে মামলা হলেও আসামিরা ধরা ছোঁয়া বাইরে রয়েছে। লাইসেন্স বিহীন ড্রাইভার, লাইসেন্স বিহীন ট্রলি কি করে চলাচল করে সেটাই এখন জনমনে প্রশ্ন।
