ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মিরপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অভিযানে ১০০ একর জায়গা উদ্ধার Logo র‌্যাব সদস্যদের অতীত ভুলে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান,স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার Logo বুধবার ‘মার্চ টু ঢাকা’, ৭ দফা দাবি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের Logo দূষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পরিবেশ রক্ষায় তরুণদের আরো সক্রিয় হতে হবে,পরিবেশ উপদেষ্টা  Logo চৌদ্দগ্রামে বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’র কমিটি পুনর্গঠন সভাপতি রিয়াজ সম্পাদক নিজাম Logo চৌদ্দগ্রামে “প্রায়োগিক পরীক্ষণ মাঠে বিনা মুগ-৮ ও বারি মুগ-২ এর মূল্যায়ণ” শীর্ষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অডিও-ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণে কাজ করবে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ : তথ্য সচিব Logo চা শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ার আহ্বান: শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা Logo হিঙ্গুলা হাছানিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ

চৌদ্দগ্রামে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে一পুরো পরিবারকে অজ্ঞান, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বন্ধুত্বের আড়ালে ভয়ঙ্কর প্রতারণার শিকার হয়েছে এক পরিবার। সেহেরির সময় নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশানো আখের রস ও তরমুজ খাইয়ে লোকমান হোসেনের পুরো পরিবারকে অজ্ঞান করে এক লাখ টাকা ও চার ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করেছে তারই পরিচিত এক ব্যক্তি।

রবিবার (১৬ মার্চ) ভোরে সেহেরির সময় প্রতিবেশী সুরুজ মিয়া দেখতে পান, লোকমান হোসেনের ঘরে কোনো সাড়া-শব্দ নেই, এমনকি ঘরেও আলো জ্বলছে না। সন্দেহ হলে তিনি স্ত্রী ও ছেলের বউকে পাঠান খোঁজ নিতে। গিয়ে দেখেন, দরজা খোলা এবং ভেতরে সবাই অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। লোকমানের স্ত্রী ফাতেমা বেগম তখনও বমি করছিলেন।

তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা তিনজনকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ভুক্তভোগী লোকমান হোসেনের ভাই, চৌদ্দগ্রাম বাজারের চা দোকানি জাকির হোসেন জানান, তার ভাইয়ের ক্ষণিকের বন্ধু হাকিম আলী পরিকল্পিতভাবে নেশাদ্রব্য খাইয়ে পুরো পরিবারকে অচেতন করে ফেলে। পরে ঘরে থাকা নগদ এক লাখ টাকা ও চার ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়। “মালামাল লুট করতেই বন্ধুত্বের ফাঁদ পেতে রেখেছিল চতুর হাকিম আলী,”— বলেন জাকির হোসেন।

চৌদ্দগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. গুলজার আলম জানান, “এ ঘটনায় সাংবাদিকদের মাধ্যমে তথ্য পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, এ ধরনের অপরাধ বেড়ে গেলেও প্রতারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নিলে এ ধরনের ঘটনা রোধ করা সম্ভব বলে মনে করেন তারা।

 

এ বিষয়ে পুলিশের পরবর্তী পদক্ষেপ জানতে চোখ রাখুন আমাদের আপডেটে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মিরপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অভিযানে ১০০ একর জায়গা উদ্ধার

চৌদ্দগ্রামে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে一পুরো পরিবারকে অজ্ঞান, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট

আপডেট সময় ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বন্ধুত্বের আড়ালে ভয়ঙ্কর প্রতারণার শিকার হয়েছে এক পরিবার। সেহেরির সময় নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশানো আখের রস ও তরমুজ খাইয়ে লোকমান হোসেনের পুরো পরিবারকে অজ্ঞান করে এক লাখ টাকা ও চার ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করেছে তারই পরিচিত এক ব্যক্তি।

রবিবার (১৬ মার্চ) ভোরে সেহেরির সময় প্রতিবেশী সুরুজ মিয়া দেখতে পান, লোকমান হোসেনের ঘরে কোনো সাড়া-শব্দ নেই, এমনকি ঘরেও আলো জ্বলছে না। সন্দেহ হলে তিনি স্ত্রী ও ছেলের বউকে পাঠান খোঁজ নিতে। গিয়ে দেখেন, দরজা খোলা এবং ভেতরে সবাই অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। লোকমানের স্ত্রী ফাতেমা বেগম তখনও বমি করছিলেন।

তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা তিনজনকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ভুক্তভোগী লোকমান হোসেনের ভাই, চৌদ্দগ্রাম বাজারের চা দোকানি জাকির হোসেন জানান, তার ভাইয়ের ক্ষণিকের বন্ধু হাকিম আলী পরিকল্পিতভাবে নেশাদ্রব্য খাইয়ে পুরো পরিবারকে অচেতন করে ফেলে। পরে ঘরে থাকা নগদ এক লাখ টাকা ও চার ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়। “মালামাল লুট করতেই বন্ধুত্বের ফাঁদ পেতে রেখেছিল চতুর হাকিম আলী,”— বলেন জাকির হোসেন।

চৌদ্দগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. গুলজার আলম জানান, “এ ঘটনায় সাংবাদিকদের মাধ্যমে তথ্য পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, এ ধরনের অপরাধ বেড়ে গেলেও প্রতারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নিলে এ ধরনের ঘটনা রোধ করা সম্ভব বলে মনে করেন তারা।

 

এ বিষয়ে পুলিশের পরবর্তী পদক্ষেপ জানতে চোখ রাখুন আমাদের আপডেটে।