কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বন্ধুত্বের আড়ালে ভয়ঙ্কর প্রতারণার শিকার হয়েছে এক পরিবার। সেহেরির সময় নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশানো আখের রস ও তরমুজ খাইয়ে লোকমান হোসেনের পুরো পরিবারকে অজ্ঞান করে এক লাখ টাকা ও চার ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করেছে তারই পরিচিত এক ব্যক্তি।
রবিবার (১৬ মার্চ) ভোরে সেহেরির সময় প্রতিবেশী সুরুজ মিয়া দেখতে পান, লোকমান হোসেনের ঘরে কোনো সাড়া-শব্দ নেই, এমনকি ঘরেও আলো জ্বলছে না। সন্দেহ হলে তিনি স্ত্রী ও ছেলের বউকে পাঠান খোঁজ নিতে। গিয়ে দেখেন, দরজা খোলা এবং ভেতরে সবাই অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। লোকমানের স্ত্রী ফাতেমা বেগম তখনও বমি করছিলেন।
তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা তিনজনকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ভুক্তভোগী লোকমান হোসেনের ভাই, চৌদ্দগ্রাম বাজারের চা দোকানি জাকির হোসেন জানান, তার ভাইয়ের ক্ষণিকের বন্ধু হাকিম আলী পরিকল্পিতভাবে নেশাদ্রব্য খাইয়ে পুরো পরিবারকে অচেতন করে ফেলে। পরে ঘরে থাকা নগদ এক লাখ টাকা ও চার ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়। “মালামাল লুট করতেই বন্ধুত্বের ফাঁদ পেতে রেখেছিল চতুর হাকিম আলী,”— বলেন জাকির হোসেন।
চৌদ্দগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. গুলজার আলম জানান, “এ ঘটনায় সাংবাদিকদের মাধ্যমে তথ্য পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, এ ধরনের অপরাধ বেড়ে গেলেও প্রতারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নিলে এ ধরনের ঘটনা রোধ করা সম্ভব বলে মনে করেন তারা।
এ বিষয়ে পুলিশের পরবর্তী পদক্ষেপ জানতে চোখ রাখুন আমাদের আপডেটে।