ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মিরপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অভিযানে ১০০ একর জায়গা উদ্ধার Logo র‌্যাব সদস্যদের অতীত ভুলে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান,স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার Logo বুধবার ‘মার্চ টু ঢাকা’, ৭ দফা দাবি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের Logo দূষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পরিবেশ রক্ষায় তরুণদের আরো সক্রিয় হতে হবে,পরিবেশ উপদেষ্টা  Logo চৌদ্দগ্রামে বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’র কমিটি পুনর্গঠন সভাপতি রিয়াজ সম্পাদক নিজাম Logo চৌদ্দগ্রামে “প্রায়োগিক পরীক্ষণ মাঠে বিনা মুগ-৮ ও বারি মুগ-২ এর মূল্যায়ণ” শীর্ষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অডিও-ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণে কাজ করবে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ : তথ্য সচিব Logo চা শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ার আহ্বান: শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা Logo হিঙ্গুলা হাছানিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ

চৌদ্দগ্রামে ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি মাটি কাটার জন্য ডিসির প্রত্যয়নপত্র নেওয়ার বিধান বাতিল, ইটভাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা এবং দীর্ঘমেয়াদী পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়নসহ সাত দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা ও পরিবেশ উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জামাল হোসেনের মাধ্যমে স্মারকলিপিটি জমা দেওয়া হয়। এ সময় ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মো. বেলাল হোসেন, সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির, অর্থ সম্পাদক রহমত উল্লাহ, সদস্য অলি আহমেদ মজুমদার, কামরুল হাসান, মজিবুর রহমান, আবদুল হান্নান, এটিএম আবদুল হালিম ও হাসান ইমাম রিপনসহ সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। স্মারকলিপি প্রদানের আগে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

সমিতির সাত দফা দাবি:

১. ২০১৩ সালের ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন:

আইনের ৮(৩)(১) এবং ৮(৩)(খ) উপধারায় নির্দিষ্ট শর্তের কারণে কিছু জিগজাগ ইটভাটা মালিক ছাড়পত্র ও লাইসেন্স পাচ্ছেন না।

পরিবেশ অধিদপ্তর হাইব্রিড কিলন ও টানেল কিলনের ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ এলাকার দূরত্ব ১০০০ মিটারের পরিবর্তে ৪০০ মিটার নির্ধারণ করেছে।

জিগজাগ ভাটার জন্য নিষিদ্ধ এলাকার দূরত্ব ৪০০ মিটার এবং বনাঞ্চলের দূরত্ব ৭০০ মিটার নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র জারি করার আবেদন।

২. জিগজাগ ইটভাটায় হয়রানি বন্ধ ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নিষেধাজ্ঞা:

অন্যথায় মালিকরা ভ্যাট ও ট্যাক্স দেওয়া বন্ধ করতে বাধ্য হবেন।

৩. সরকারি আর্থিক ক্ষতিপূরণ ছাড়া ইটভাটা বন্ধ না করা:

ইটভাটা বন্ধ করার ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

৪. মাটি কাটার জন্য ডিসির প্রত্যয়নপত্র নেওয়ার বাধ্যবাধকতা বাতিল:

মাটি সংগ্রহে বাধাবিঘ্ন দূর করতে হবে।

৫. লাইসেন্স ও ছাড়পত্র নবায়নে কেন্দ্রীয় সমিতির প্রত্যয়নপত্র বাধ্যতামূলক করা:

পরিবেশগত ছাড়পত্র, ডিসি লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্র নবায়নে কেন্দ্রীয় ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির প্রত্যয়নপত্র জমা দেওয়ার বিধান চালু করা।

৬. ইটভাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা:

সরকারিভাবে ইটভাটাকে শিল্প খাতের আওতায় আনার দাবি।

৭. দীর্ঘমেয়াদী পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন:

ইটভাটা পরিচালনায় স্বচ্ছ ও কার্যকর নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে।

বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান শেষে সমিতির নেতারা বলেন, তাঁদের দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মিরপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অভিযানে ১০০ একর জায়গা উদ্ধার

চৌদ্দগ্রামে ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান

আপডেট সময় ১০:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি মাটি কাটার জন্য ডিসির প্রত্যয়নপত্র নেওয়ার বিধান বাতিল, ইটভাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা এবং দীর্ঘমেয়াদী পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়নসহ সাত দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা ও পরিবেশ উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জামাল হোসেনের মাধ্যমে স্মারকলিপিটি জমা দেওয়া হয়। এ সময় ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মো. বেলাল হোসেন, সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির, অর্থ সম্পাদক রহমত উল্লাহ, সদস্য অলি আহমেদ মজুমদার, কামরুল হাসান, মজিবুর রহমান, আবদুল হান্নান, এটিএম আবদুল হালিম ও হাসান ইমাম রিপনসহ সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। স্মারকলিপি প্রদানের আগে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

সমিতির সাত দফা দাবি:

১. ২০১৩ সালের ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন:

আইনের ৮(৩)(১) এবং ৮(৩)(খ) উপধারায় নির্দিষ্ট শর্তের কারণে কিছু জিগজাগ ইটভাটা মালিক ছাড়পত্র ও লাইসেন্স পাচ্ছেন না।

পরিবেশ অধিদপ্তর হাইব্রিড কিলন ও টানেল কিলনের ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ এলাকার দূরত্ব ১০০০ মিটারের পরিবর্তে ৪০০ মিটার নির্ধারণ করেছে।

জিগজাগ ভাটার জন্য নিষিদ্ধ এলাকার দূরত্ব ৪০০ মিটার এবং বনাঞ্চলের দূরত্ব ৭০০ মিটার নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র জারি করার আবেদন।

২. জিগজাগ ইটভাটায় হয়রানি বন্ধ ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নিষেধাজ্ঞা:

অন্যথায় মালিকরা ভ্যাট ও ট্যাক্স দেওয়া বন্ধ করতে বাধ্য হবেন।

৩. সরকারি আর্থিক ক্ষতিপূরণ ছাড়া ইটভাটা বন্ধ না করা:

ইটভাটা বন্ধ করার ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

৪. মাটি কাটার জন্য ডিসির প্রত্যয়নপত্র নেওয়ার বাধ্যবাধকতা বাতিল:

মাটি সংগ্রহে বাধাবিঘ্ন দূর করতে হবে।

৫. লাইসেন্স ও ছাড়পত্র নবায়নে কেন্দ্রীয় সমিতির প্রত্যয়নপত্র বাধ্যতামূলক করা:

পরিবেশগত ছাড়পত্র, ডিসি লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্র নবায়নে কেন্দ্রীয় ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির প্রত্যয়নপত্র জমা দেওয়ার বিধান চালু করা।

৬. ইটভাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা:

সরকারিভাবে ইটভাটাকে শিল্প খাতের আওতায় আনার দাবি।

৭. দীর্ঘমেয়াদী পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন:

ইটভাটা পরিচালনায় স্বচ্ছ ও কার্যকর নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে।

বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান শেষে সমিতির নেতারা বলেন, তাঁদের দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।