ঢাকা , রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চৌদ্দগ্রামে যৌথবাহিনীর অভিযানে গাঁজা-ইয়াবা সহ চিহিৃত ৪ মাদক কারবারি আটক Logo চৌদ্দগ্রামে মৃত ভাইয়ের লাশ নিয়ে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলো আরও ২ ভাই Logo চৌদ্দগ্রাম সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয় নাগরিক আটক  Logo চৌদ্দগ্রামে খাল থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার Logo কুমিল্লা মুরাদনগরে এক পরিবারের ৩ জনকে হত্যা Logo চৌদ্দগ্রামে ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল ও ফ্যাকো সেন্টারের উদ্বোধন Logo চৌদ্দগ্রামে এক নারীকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা, রং মিস্ত্রি আটক Logo দেশব্যাপী জিরো টলারেন্স অভিযান: পুলিশের পেশাদারিত্বে ফিরছে জনআস্থা Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় উন্নত হবে শিক্ষার মান : চৌদ্দগ্রামে সেতু সচিব আব্দুর রউফ Logo চৌদ্দগ্রামে কালিকাপুর ইউনিয়ন ১ ও ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত 

চৌদ্দগ্রামে ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি মাটি কাটার জন্য ডিসির প্রত্যয়নপত্র নেওয়ার বিধান বাতিল, ইটভাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা এবং দীর্ঘমেয়াদী পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়নসহ সাত দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা ও পরিবেশ উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জামাল হোসেনের মাধ্যমে স্মারকলিপিটি জমা দেওয়া হয়। এ সময় ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মো. বেলাল হোসেন, সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির, অর্থ সম্পাদক রহমত উল্লাহ, সদস্য অলি আহমেদ মজুমদার, কামরুল হাসান, মজিবুর রহমান, আবদুল হান্নান, এটিএম আবদুল হালিম ও হাসান ইমাম রিপনসহ সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। স্মারকলিপি প্রদানের আগে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

সমিতির সাত দফা দাবি:

১. ২০১৩ সালের ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন:

আইনের ৮(৩)(১) এবং ৮(৩)(খ) উপধারায় নির্দিষ্ট শর্তের কারণে কিছু জিগজাগ ইটভাটা মালিক ছাড়পত্র ও লাইসেন্স পাচ্ছেন না।

পরিবেশ অধিদপ্তর হাইব্রিড কিলন ও টানেল কিলনের ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ এলাকার দূরত্ব ১০০০ মিটারের পরিবর্তে ৪০০ মিটার নির্ধারণ করেছে।

জিগজাগ ভাটার জন্য নিষিদ্ধ এলাকার দূরত্ব ৪০০ মিটার এবং বনাঞ্চলের দূরত্ব ৭০০ মিটার নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র জারি করার আবেদন।

২. জিগজাগ ইটভাটায় হয়রানি বন্ধ ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নিষেধাজ্ঞা:

অন্যথায় মালিকরা ভ্যাট ও ট্যাক্স দেওয়া বন্ধ করতে বাধ্য হবেন।

৩. সরকারি আর্থিক ক্ষতিপূরণ ছাড়া ইটভাটা বন্ধ না করা:

ইটভাটা বন্ধ করার ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

৪. মাটি কাটার জন্য ডিসির প্রত্যয়নপত্র নেওয়ার বাধ্যবাধকতা বাতিল:

মাটি সংগ্রহে বাধাবিঘ্ন দূর করতে হবে।

৫. লাইসেন্স ও ছাড়পত্র নবায়নে কেন্দ্রীয় সমিতির প্রত্যয়নপত্র বাধ্যতামূলক করা:

পরিবেশগত ছাড়পত্র, ডিসি লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্র নবায়নে কেন্দ্রীয় ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির প্রত্যয়নপত্র জমা দেওয়ার বিধান চালু করা।

৬. ইটভাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা:

সরকারিভাবে ইটভাটাকে শিল্প খাতের আওতায় আনার দাবি।

৭. দীর্ঘমেয়াদী পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন:

ইটভাটা পরিচালনায় স্বচ্ছ ও কার্যকর নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে।

বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান শেষে সমিতির নেতারা বলেন, তাঁদের দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

চৌদ্দগ্রামে যৌথবাহিনীর অভিযানে গাঁজা-ইয়াবা সহ চিহিৃত ৪ মাদক কারবারি আটক

চৌদ্দগ্রামে ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান

আপডেট সময় ১০:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি মাটি কাটার জন্য ডিসির প্রত্যয়নপত্র নেওয়ার বিধান বাতিল, ইটভাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা এবং দীর্ঘমেয়াদী পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়নসহ সাত দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা ও পরিবেশ উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জামাল হোসেনের মাধ্যমে স্মারকলিপিটি জমা দেওয়া হয়। এ সময় ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মো. বেলাল হোসেন, সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির, অর্থ সম্পাদক রহমত উল্লাহ, সদস্য অলি আহমেদ মজুমদার, কামরুল হাসান, মজিবুর রহমান, আবদুল হান্নান, এটিএম আবদুল হালিম ও হাসান ইমাম রিপনসহ সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। স্মারকলিপি প্রদানের আগে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

সমিতির সাত দফা দাবি:

১. ২০১৩ সালের ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন:

আইনের ৮(৩)(১) এবং ৮(৩)(খ) উপধারায় নির্দিষ্ট শর্তের কারণে কিছু জিগজাগ ইটভাটা মালিক ছাড়পত্র ও লাইসেন্স পাচ্ছেন না।

পরিবেশ অধিদপ্তর হাইব্রিড কিলন ও টানেল কিলনের ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ এলাকার দূরত্ব ১০০০ মিটারের পরিবর্তে ৪০০ মিটার নির্ধারণ করেছে।

জিগজাগ ভাটার জন্য নিষিদ্ধ এলাকার দূরত্ব ৪০০ মিটার এবং বনাঞ্চলের দূরত্ব ৭০০ মিটার নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র জারি করার আবেদন।

২. জিগজাগ ইটভাটায় হয়রানি বন্ধ ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নিষেধাজ্ঞা:

অন্যথায় মালিকরা ভ্যাট ও ট্যাক্স দেওয়া বন্ধ করতে বাধ্য হবেন।

৩. সরকারি আর্থিক ক্ষতিপূরণ ছাড়া ইটভাটা বন্ধ না করা:

ইটভাটা বন্ধ করার ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

৪. মাটি কাটার জন্য ডিসির প্রত্যয়নপত্র নেওয়ার বাধ্যবাধকতা বাতিল:

মাটি সংগ্রহে বাধাবিঘ্ন দূর করতে হবে।

৫. লাইসেন্স ও ছাড়পত্র নবায়নে কেন্দ্রীয় সমিতির প্রত্যয়নপত্র বাধ্যতামূলক করা:

পরিবেশগত ছাড়পত্র, ডিসি লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্র নবায়নে কেন্দ্রীয় ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির প্রত্যয়নপত্র জমা দেওয়ার বিধান চালু করা।

৬. ইটভাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা:

সরকারিভাবে ইটভাটাকে শিল্প খাতের আওতায় আনার দাবি।

৭. দীর্ঘমেয়াদী পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন:

ইটভাটা পরিচালনায় স্বচ্ছ ও কার্যকর নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে।

বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান শেষে সমিতির নেতারা বলেন, তাঁদের দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।