কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক বিধবাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা ও এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারধরের ঘটনায় ভুক্তভোগী মাফিয়া বেগম বাদি হয়ে কুমিল্লার আদালতে মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত মহিন উদ্দিন উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের আবদুল বারেকের ছেলে। রবিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক সানাউল্লাহ।
অভিযুক্ত মহিন উদ্দিন স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতা বলে জানাগেছে। মামলা হওয়ার পর মামলার স্বাক্ষীদেরও হুমকি-ধমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মহিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
সরজমিন গিয়ে জানাযায়, বিধবা মাফিয়া বেগম ও ছাত্রলীগ নেতা মহিন উদ্দিন পরানপুর গ্রামে পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা। মহিন উদ্দিন ও তার পিতা আবদুল বারেক দীর্ঘদিন যাবত মাফিয়া বেগমের স্বামী মরহুম মোসলেম মিয়ার রেখে যাওয়া সম্পত্তির লোভ জোরপূর্বক জবর দখলের পাঁয়তারা করছে। মাফিয়া বেগমের দুই ছেলে প্রবাসে অবস্থান করায় এবং বাড়িতে পুরুষ লোক না থাকায় মহিন উদ্দিনরা মানসিক হয়রানীসহ জুলুম অত্যাচার করে আসছে। ইতোপূর্বে মহিন উদ্দিনরা মোসলেম মিয়ার জায়গা থেকে জোরপূর্বক অন্যায়ভাবে গাছ কেটে নেয়। এতে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে প্রাণনাশের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন অব্যাহত রাখে। স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক বসলেও মহিন উদ্দিনরা সিদ্ধান্ত মানে না। গত ২২ মার্চ দুপুরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে ও পরিকল্পিতভাবে মহিন উদ্দিনরা বাড়ির উঠানে পেয়ে মাফিয়া বেগমকে এ’লোপাতাড়িভাবে মারধর ও গলা টিপে ধরে শ্বা’সরোধে হত্যার চেষ্টা চালায়। এছাড়াও তারা মাফিয়া বেগমের পরনের কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করে শ্লী’লতাহানী করে। পরে স্থানীয় লোকজন আহত মাফিয়া বেগমকে উদ্ধার শেষে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের আগে মহিন উদ্দিন নিজেকে কালিকাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পরিচয় দিয়ে মানুষকে হুমকি-ধমকি, কাঁকড়ি নদীর মাটি বিক্রিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিল। এছাড়া মহিন উদ্দিনের দাদা মুক্তিযোদ্ধা ও চাচা পুলিশ হওয়ায় কাউকে পাত্তা দিতো না। তাকে আইনের আওতায় আনতে দাবি করেছে ভুক্তভোগী মাফিয়া বেগমসহ আরও অনেকে।
অভিযোগ অস্বীকার করে মহিন উদ্দিন বলেন, আমি কখনো ছাত্রলীগ করিনি। মাফিয়া বেগমের সাথে গাছ কাটা নিয়ে বিরোধ। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করতেই পাশের ঘরের দাদি মাফিয়া বেগম অপপ্রচার করছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক সানা উল্লাহ বলেন, ‘ভুক্তভোগী মাফিয়া বেগম আদালতে মামলা করেছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।