ঢাকা , সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চৌদ্দগ্রামে যৌথবাহিনীর অভিযানে গাঁজা-ইয়াবা সহ চিহিৃত ৪ মাদক কারবারি আটক Logo চৌদ্দগ্রামে মৃত ভাইয়ের লাশ নিয়ে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলো আরও ২ ভাই Logo চৌদ্দগ্রাম সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয় নাগরিক আটক  Logo চৌদ্দগ্রামে খাল থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার Logo কুমিল্লা মুরাদনগরে এক পরিবারের ৩ জনকে হত্যা Logo চৌদ্দগ্রামে ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল ও ফ্যাকো সেন্টারের উদ্বোধন Logo চৌদ্দগ্রামে এক নারীকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা, রং মিস্ত্রি আটক Logo দেশব্যাপী জিরো টলারেন্স অভিযান: পুলিশের পেশাদারিত্বে ফিরছে জনআস্থা Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় উন্নত হবে শিক্ষার মান : চৌদ্দগ্রামে সেতু সচিব আব্দুর রউফ Logo চৌদ্দগ্রামে কালিকাপুর ইউনিয়ন ১ ও ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত 

টেকসই উন্নয়নের জন্য কৃষি, প্রাণ-প্রকৃতি ও খাদ্য নিরাপত্তার সমন্বয় জরুরি বলে জানান । পরিবেশ ,উপদেষ্টা

টেকসই উন্নয়নের জন্য কৃষি, প্রাণ-প্রকৃতি ও খাদ্য নিরাপত্তার সমন্বয় জরুরি বলে জানান ।

পরিবেশ ,উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি এবং প্রাণ-প্রকৃতি—এই তিনটি বিষয়ের সমন্বয় চারা টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংস গ্রহণযোগ্য নয়। পরিবেশকে মূল ধারায় আনতেই হবে।

সোমবার রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও-এ অনুষ্ঠিত কৃষি উৎপাদন ও প্রাণ-প্রকৃতি সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে পরিবেশ সংরক্ষণ এবং কৃষকের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। ‘উন্নয়ন করলে পরিবেশের ক্ষতি হবেই’—এমন মানসিকতা বদলাতে হবে। তিনি আরো বলেন, শিল্প দূষণ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে গেলে বলা হয়, হাজার হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হুমকিতে পড়বে। কিন্তু নদীর উপর নির্ভরশীল লক্ষ মানুষের জীবিকা ও সুপেয় পানির নিরাপত্তার বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যায়।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, কৃষিজমির মাটি কেটে ইটভাটায় সরবরাহ করা হচ্ছে, যা কার্যত দস্যুতা। কৃষিজমি সুরক্ষা আইনের পাশ করতে কাজ করছে সরকার। না হলে বাংলাদেশে কৃষিজমি থাকবেই না। তিনি জৈব কৃষির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, অতিরিক্ত সার ও কীটনাশক ব্যবহারে মাটি দূষিত হচ্ছে। আমাদের এখনই জৈব সার উৎপাদন ও বিতরণে উদ্যোগ নিতে হবে। বহুজাতিক কোম্পানির চাপ উপেক্ষা করে আমাদের নিজস্ব কৃষি মডেল গড়ে তুলতে হবে।

পরিবেশ সংরক্ষণে রাষ্ট্র ও ব্যক্তি পর্যায়ে ভোগের ধরণ পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমরা একদিকে বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে অভিযোগ করি, অন্যদিকে অহেতুক এসি-লাইট ব্যবহার করি। কনজাম্পশন প্যাটার্ন এবং পরিবেশ—এই দুইকে একসাথে বিবেচনায় আনতে হবে।

তিনি জানান, মধুপুর শালবন পুনরুদ্ধার প্রকল্প শুরু হয়েছে। ইউক্যালিপটাস গাছ সরিয়ে আবার শালগাছ ও বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি ফিরিয়ে আনা হবে। টেকসই ভবিষ্যতের জন্য নীতি, আইন ও আচরণে দ্রুত পরিবর্তন আনতেই হবে।

সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অর্থনীতিবিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ; মাল্টিমোড গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু; আইইউবিএটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব; ইস্ট কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী; গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তোফাজ্জল ইসলাম এবং  বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সহসভাপতি খুশি কবীর প্রমুখ।

সম্মেলনে কৃষি বিশেষজ্ঞ, গবেষক, পরিবেশবিদ ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

 

 

 

.

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

চৌদ্দগ্রামে যৌথবাহিনীর অভিযানে গাঁজা-ইয়াবা সহ চিহিৃত ৪ মাদক কারবারি আটক

টেকসই উন্নয়নের জন্য কৃষি, প্রাণ-প্রকৃতি ও খাদ্য নিরাপত্তার সমন্বয় জরুরি বলে জানান । পরিবেশ ,উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

টেকসই উন্নয়নের জন্য কৃষি, প্রাণ-প্রকৃতি ও খাদ্য নিরাপত্তার সমন্বয় জরুরি বলে জানান ।

পরিবেশ ,উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি এবং প্রাণ-প্রকৃতি—এই তিনটি বিষয়ের সমন্বয় চারা টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংস গ্রহণযোগ্য নয়। পরিবেশকে মূল ধারায় আনতেই হবে।

সোমবার রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও-এ অনুষ্ঠিত কৃষি উৎপাদন ও প্রাণ-প্রকৃতি সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে পরিবেশ সংরক্ষণ এবং কৃষকের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। ‘উন্নয়ন করলে পরিবেশের ক্ষতি হবেই’—এমন মানসিকতা বদলাতে হবে। তিনি আরো বলেন, শিল্প দূষণ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে গেলে বলা হয়, হাজার হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হুমকিতে পড়বে। কিন্তু নদীর উপর নির্ভরশীল লক্ষ মানুষের জীবিকা ও সুপেয় পানির নিরাপত্তার বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যায়।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, কৃষিজমির মাটি কেটে ইটভাটায় সরবরাহ করা হচ্ছে, যা কার্যত দস্যুতা। কৃষিজমি সুরক্ষা আইনের পাশ করতে কাজ করছে সরকার। না হলে বাংলাদেশে কৃষিজমি থাকবেই না। তিনি জৈব কৃষির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, অতিরিক্ত সার ও কীটনাশক ব্যবহারে মাটি দূষিত হচ্ছে। আমাদের এখনই জৈব সার উৎপাদন ও বিতরণে উদ্যোগ নিতে হবে। বহুজাতিক কোম্পানির চাপ উপেক্ষা করে আমাদের নিজস্ব কৃষি মডেল গড়ে তুলতে হবে।

পরিবেশ সংরক্ষণে রাষ্ট্র ও ব্যক্তি পর্যায়ে ভোগের ধরণ পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমরা একদিকে বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে অভিযোগ করি, অন্যদিকে অহেতুক এসি-লাইট ব্যবহার করি। কনজাম্পশন প্যাটার্ন এবং পরিবেশ—এই দুইকে একসাথে বিবেচনায় আনতে হবে।

তিনি জানান, মধুপুর শালবন পুনরুদ্ধার প্রকল্প শুরু হয়েছে। ইউক্যালিপটাস গাছ সরিয়ে আবার শালগাছ ও বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি ফিরিয়ে আনা হবে। টেকসই ভবিষ্যতের জন্য নীতি, আইন ও আচরণে দ্রুত পরিবর্তন আনতেই হবে।

সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অর্থনীতিবিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ; মাল্টিমোড গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু; আইইউবিএটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব; ইস্ট কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী; গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তোফাজ্জল ইসলাম এবং  বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সহসভাপতি খুশি কবীর প্রমুখ।

সম্মেলনে কৃষি বিশেষজ্ঞ, গবেষক, পরিবেশবিদ ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

 

 

 

.