কুড়িগ্রামের ৭ জেলের দ্রুত মুক্তি ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রধান উপদেষ্টাএর কাছে কার্যকর ও মানবিক পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি।
আজ চিলমারী উপজেলার তরুণ প্রজন্মের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কুড়িগ্রাম ৭জেলের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন কুড়িগ্রামে ৭জেল এর পরিবার।
কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার সাতজন দরিদ্র মৎস্যজীবী ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর জিঞ্জিরাম নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে পথ হারিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে ভারতের সীমান্ত অতিক্রম করেন।
পরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাদের ‘অবৈধ অনুপ্রবেশ’-এর অভিযোগে আটক করে এবং মেঘালয়ের কালাইরচর পেট্রোল থানায় হস্তান্তর করে। পরিবারের সদস্যরা সংবাদ মাধ্যমে। ঘটনাটি জানতে পারেন।
বর্তমানে তারা মেঘালয় রাজ্যের তুরা কারাগারে জামিন পেয়ে প্রায় ছয় মাস ধরে আটক রয়েছেন।
পরিবারের সদস্যরা ভারতের দুইজন আইনজীবীর সহায়তা নেওয়ার চেষ্টা করেন। প্রথমে রফিকুল ইসলাম নামে একজন আইনজীবী ১৫-২০ দিনের মধ্যে জামিনের আশ্বাস দিয়ে অর্থ গ্রহণ করেন, কিন্তু চার মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো অগ্রগতি হয়নি তাদের।
পরবর্তীতে লিয়েন্ট রোশন নামে আরেক আইনজীবী টাকা নিয়ে জানান যে, ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল আদালত বন্ধ থাকবে এবং পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান। কিন্তু ২১ এপ্রিলের পর তিনি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এরপর আর কোনো আইনজীবীর সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ফলে সরকারের কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ ছাড়া তাঁদের মুক্তি কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আটককৃতরা হলেন রাসেল মিয়া (৩৫), হরিনের বন্দ, চিলমারীবিপ্লব মিয়া (৪৫), ব্যাপারী পাড়া, রমনা, চিলমারীমীর জাহান আলী (৪৫), ব্যাপারী পাড়া, রমনা, চিলমারীবকুল মিয়া (৩২), ব্যাপারী পাড়া, রমনা, চিলমারীআমির আলী (৩৫), চিলমারী উপজেলা আঙ্গুর হোসেন (২০), বালিয়ামারী, রাজিবপুর চাঁন মিয়া (৬০), যাদুর চর, বকবান্ধা, রৌমারী
আটককৃত প্রত্যেকেই তাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাদের অনুপস্থিতিতে পরিবারগুলো চরম সংকটে পড়েছে। অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটছে, শিশুদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেছে।
মা-বাবা ও স্ত্রীদের চোখ প্রতিদিন অশ্রুতে ভিজছে। এসব পরিবার এখন মানবেতর ও চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে জীবন-যাপন করছে।
এই গভীর মানবিক সংকটের অবসান এবং জেলেদের দ্রুত মুক্তি ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের কাছে কার্যকর ও মানবিক পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন’চিলমারী উপজেলার তরুণ প্রজন্ম’
আজ আমরা দাঁড়িয়েছি নিঃশব্দ বন্দিদের পক্ষে, যারা কথা বলতে পারছে না, কিন্তু তাদের মুক্তির আর্তনাদ আমাদের হৃদয় কাঁপিয়ে দেয়।