ঢাকা , সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চৌদ্দগ্রাম বিএনপির সম্মেলনে আবদুর রাজ্জাক রাশেদের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মনোনয়ন সংগ্রহ Logo উদয়ন সংগীত একাডেমীর পাঁচ বছর পূর্তি উদযাপন Logo চৌদ্দগ্রামে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত Logo ফরিদ আহমেদ শাহিন –সংগ্রামী জীবনের প্রতীক, প্রবাসেও যিনি লড়েছেন ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে Logo বিএনপি’র পৌরসভা দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী আমিনুল ইসলাম ছুটু Logo দোহা ভাই ,অসংখ্য মানুষের ভালোবাসায় বেঁচে থাকা এক গুণী মানুষ Logo চৌদ্দগ্রামে ত্যাগী নেতা আবদুর রাজ্জাক রাশেদ: বিএনপির নির্ভরযোগ্য ভরসা Logo গরিব দুঃখীর আপনজন, বিএনপি’র ফারুক ভাই: এক নিঃস্বার্থ সমাজসেবকের গল্প Logo চৌদ্দগ্রামে সাংবাদিক মামুনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া-মিলাদ অনুষ্ঠিত Logo চৌদ্দগ্রামে বিনাধান-১৯, ২১ ও ব্রি ধান-৪৮ এর মূল্যায়ন শীর্ষক মাঠ দিবস পালিত

চা শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ার আহ্বান: শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, চা শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়তে হবে এবং এ শিল্পের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন হবে সমন্বিত প্রচেষ্টা।

শ্রীমংগলস্থ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের ভবন উদ্বোধন শেষে চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সাথে  মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

শ্রম উপদেষ্টা বলেন, দেশের চা শিল্পের উন্নয়ন ও চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে শ্রমিক ও মালিকদের মধ্যে আস্থা ও ঐক্য গড়ে তোলা প্রয়োজন। চা বাগানগুলোর শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, বসবাসের উন্নত পরিবেশ, স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও পানি সরবরাহকরণ সুবিধা, চিকিৎসা সুবিধা ও শিশুদের প্রাথমিক ও কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান। দীর্ঘদিন ধরে চা শ্রমিকরা নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। অনেক বাগানে এখনও মজুরি কম, বাসস্থানের অবকাঠামো দুর্বল, এবং স্বাস্থ্যসেবা অপ্রতুল। এছাড়া, চা শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষার সুযোগ না থাকায় নতুন প্রজন্মও বাধ্য হয় চা বাগানের কাজে যোগ দিতে।  চা সেক্টরের সকল সমস্যা সমাধানে শ্রমিক সংগঠন ও বাগান মালিকদের এগিয়ে আসতে হবে

বলে উপদেষ্টা জানান।

উপদেষ্টা আরও বলেন, শুধু মজুরি বৃদ্ধিই নয়, শ্রমিকদের জন্য আবাসন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো মৌলিক সুবিধাগুলো নিশ্চিত করা হবে। এ লক্ষ্যে সরকার, মালিক পক্ষ ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি ট্রাইপার্টাইট কমিটি গঠন করা হবে। বাংলাদেশের চা শিল্পের গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে কিন্তু শ্রমিকদের দুর্দশা এই শিল্পের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। শ্রমিক-মালিক সংঘাত কমিয়ে উৎপাদন বাড়ানো গেলে এই শিল্প আবারও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে পারে বলেন।  সর্বস্তরের সমন্বয় ও সদিচ্ছাই পারে চা শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে। সরকারি নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে স্থানীয় উদ্যোগ—সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানা

নো উপদেষ্টা

 

 

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চৌদ্দগ্রাম বিএনপির সম্মেলনে আবদুর রাজ্জাক রাশেদের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মনোনয়ন সংগ্রহ

চা শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ার আহ্বান: শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা

আপডেট সময় ১২:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, চা শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়তে হবে এবং এ শিল্পের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন হবে সমন্বিত প্রচেষ্টা।

শ্রীমংগলস্থ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের ভবন উদ্বোধন শেষে চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সাথে  মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

শ্রম উপদেষ্টা বলেন, দেশের চা শিল্পের উন্নয়ন ও চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে শ্রমিক ও মালিকদের মধ্যে আস্থা ও ঐক্য গড়ে তোলা প্রয়োজন। চা বাগানগুলোর শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, বসবাসের উন্নত পরিবেশ, স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও পানি সরবরাহকরণ সুবিধা, চিকিৎসা সুবিধা ও শিশুদের প্রাথমিক ও কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান। দীর্ঘদিন ধরে চা শ্রমিকরা নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। অনেক বাগানে এখনও মজুরি কম, বাসস্থানের অবকাঠামো দুর্বল, এবং স্বাস্থ্যসেবা অপ্রতুল। এছাড়া, চা শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষার সুযোগ না থাকায় নতুন প্রজন্মও বাধ্য হয় চা বাগানের কাজে যোগ দিতে।  চা সেক্টরের সকল সমস্যা সমাধানে শ্রমিক সংগঠন ও বাগান মালিকদের এগিয়ে আসতে হবে

বলে উপদেষ্টা জানান।

উপদেষ্টা আরও বলেন, শুধু মজুরি বৃদ্ধিই নয়, শ্রমিকদের জন্য আবাসন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো মৌলিক সুবিধাগুলো নিশ্চিত করা হবে। এ লক্ষ্যে সরকার, মালিক পক্ষ ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি ট্রাইপার্টাইট কমিটি গঠন করা হবে। বাংলাদেশের চা শিল্পের গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে কিন্তু শ্রমিকদের দুর্দশা এই শিল্পের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। শ্রমিক-মালিক সংঘাত কমিয়ে উৎপাদন বাড়ানো গেলে এই শিল্প আবারও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে পারে বলেন।  সর্বস্তরের সমন্বয় ও সদিচ্ছাই পারে চা শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে। সরকারি নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে স্থানীয় উদ্যোগ—সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানা

নো উপদেষ্টা