ঢাকা , সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চৌদ্দগ্রামে যৌথবাহিনীর অভিযানে গাঁজা-ইয়াবা সহ চিহিৃত ৪ মাদক কারবারি আটক Logo চৌদ্দগ্রামে মৃত ভাইয়ের লাশ নিয়ে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলো আরও ২ ভাই Logo চৌদ্দগ্রাম সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয় নাগরিক আটক  Logo চৌদ্দগ্রামে খাল থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার Logo কুমিল্লা মুরাদনগরে এক পরিবারের ৩ জনকে হত্যা Logo চৌদ্দগ্রামে ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল ও ফ্যাকো সেন্টারের উদ্বোধন Logo চৌদ্দগ্রামে এক নারীকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা, রং মিস্ত্রি আটক Logo দেশব্যাপী জিরো টলারেন্স অভিযান: পুলিশের পেশাদারিত্বে ফিরছে জনআস্থা Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় উন্নত হবে শিক্ষার মান : চৌদ্দগ্রামে সেতু সচিব আব্দুর রউফ Logo চৌদ্দগ্রামে কালিকাপুর ইউনিয়ন ১ ও ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত 

মিয়াবাজারে স্বর্ণের দোকানে সশস্ত্র ডাকাতি, গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ী, আটক ১

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৭৬ বার পড়া হয়েছে

হোসাইন মামুন স্টাফ রিপোর্টার

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজারে এক সশস্ত্র ডাকাতদল ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ করে প্রীতি জুয়েলার্স নামের স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি চালিয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে বিসমিল্লাহ টেলিকমের মালিক মোশারফ হোসেন গুরুতর আহত হন। তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তার অস্ত্রোপচার চলছিল।

ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে এক ডাকাতকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত ৮টার দিকে এশার নামাজ চলাকালে ৮-১০ জনের একদল সশস্ত্র ডাকাত নোহা মাইক্রোবাসযোগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মিয়াবাজার মসজিদ মার্কেটের নিচতলায় অবস্থিত প্রীতি জুয়েলার্সে হানা দেয়।

প্রথমে দুইজন কাস্টমার সেজে দোকানে প্রবেশ করে বিভিন্ন গহনা দেখার নামে সময়ক্ষেপণ করে। এরপরই মূল দল অস্ত্রসহ দোকানে ঢুকে মালিক রবীন্দ্র দত্ত ও তার ভাতিজা পলাশ দত্তকে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার লুট করে।

ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার সময় দোকান মালিকের চিৎকারে আশপাশের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এলে তারা এলোপাতাড়ি গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ সময় মোশারফ হোসেন গুলিবিদ্ধ হন।

ডাকাতরা দ্রুত তাদের বহনকৃত নোহা মাইক্রোবাসে পালিয়ে গেলেও এক ডাকাত মহাসড়কের দিকে দৌড়ানোর সময় স্থানীয়রা ধাওয়া করে আটক করে। পরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ জানান, পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং আটক ডাকাতকে থানায় নিয়ে যায়। ডাকাত দলের অন্য সদস্যদের ধরতে অভিযান চলছে।

আটক ডাকাতের নাম কাওসার (৩০) সে ঢাকার উত্তর খান চানপাড়া এলাকার আবুল বাসারের ছেলে। পুলিশ দ্রুতই বাকী ডাকাতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

চৌদ্দগ্রামে যৌথবাহিনীর অভিযানে গাঁজা-ইয়াবা সহ চিহিৃত ৪ মাদক কারবারি আটক

মিয়াবাজারে স্বর্ণের দোকানে সশস্ত্র ডাকাতি, গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ী, আটক ১

আপডেট সময় ১১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

হোসাইন মামুন স্টাফ রিপোর্টার

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজারে এক সশস্ত্র ডাকাতদল ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ করে প্রীতি জুয়েলার্স নামের স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি চালিয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে বিসমিল্লাহ টেলিকমের মালিক মোশারফ হোসেন গুরুতর আহত হন। তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তার অস্ত্রোপচার চলছিল।

ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে এক ডাকাতকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত ৮টার দিকে এশার নামাজ চলাকালে ৮-১০ জনের একদল সশস্ত্র ডাকাত নোহা মাইক্রোবাসযোগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মিয়াবাজার মসজিদ মার্কেটের নিচতলায় অবস্থিত প্রীতি জুয়েলার্সে হানা দেয়।

প্রথমে দুইজন কাস্টমার সেজে দোকানে প্রবেশ করে বিভিন্ন গহনা দেখার নামে সময়ক্ষেপণ করে। এরপরই মূল দল অস্ত্রসহ দোকানে ঢুকে মালিক রবীন্দ্র দত্ত ও তার ভাতিজা পলাশ দত্তকে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার লুট করে।

ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার সময় দোকান মালিকের চিৎকারে আশপাশের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এলে তারা এলোপাতাড়ি গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ সময় মোশারফ হোসেন গুলিবিদ্ধ হন।

ডাকাতরা দ্রুত তাদের বহনকৃত নোহা মাইক্রোবাসে পালিয়ে গেলেও এক ডাকাত মহাসড়কের দিকে দৌড়ানোর সময় স্থানীয়রা ধাওয়া করে আটক করে। পরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ জানান, পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং আটক ডাকাতকে থানায় নিয়ে যায়। ডাকাত দলের অন্য সদস্যদের ধরতে অভিযান চলছে।

আটক ডাকাতের নাম কাওসার (৩০) সে ঢাকার উত্তর খান চানপাড়া এলাকার আবুল বাসারের ছেলে। পুলিশ দ্রুতই বাকী ডাকাতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।