ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের স্ত্রীর কারাদণ্ডদুদকের মামলায় Logo ১৮ জন অতিরিক্ত পুলিশের আইজিকে বদলি Logo রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরতে প্রস্তুত: খলিলুর রহমান Logo চৌদ্দগ্রাম বিএনপির সম্মেলনে আবদুর রাজ্জাক রাশেদের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মনোনয়ন সংগ্রহ Logo উদয়ন সংগীত একাডেমীর পাঁচ বছর পূর্তি উদযাপন Logo চৌদ্দগ্রামে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত Logo ফরিদ আহমেদ শাহিন –সংগ্রামী জীবনের প্রতীক, প্রবাসেও যিনি লড়েছেন ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে Logo বিএনপি’র পৌরসভা দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী আমিনুল ইসলাম ছুটু Logo দোহা ভাই ,অসংখ্য মানুষের ভালোবাসায় বেঁচে থাকা এক গুণী মানুষ Logo চৌদ্দগ্রামে ত্যাগী নেতা আবদুর রাজ্জাক রাশেদ: বিএনপির নির্ভরযোগ্য ভরসা

মিয়াবাজারে স্বর্ণের দোকানে সশস্ত্র ডাকাতি, গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ী, আটক ১

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৯৩ বার পড়া হয়েছে

হোসাইন মামুন স্টাফ রিপোর্টার

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজারে এক সশস্ত্র ডাকাতদল ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ করে প্রীতি জুয়েলার্স নামের স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি চালিয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে বিসমিল্লাহ টেলিকমের মালিক মোশারফ হোসেন গুরুতর আহত হন। তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তার অস্ত্রোপচার চলছিল।

ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে এক ডাকাতকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত ৮টার দিকে এশার নামাজ চলাকালে ৮-১০ জনের একদল সশস্ত্র ডাকাত নোহা মাইক্রোবাসযোগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মিয়াবাজার মসজিদ মার্কেটের নিচতলায় অবস্থিত প্রীতি জুয়েলার্সে হানা দেয়।

প্রথমে দুইজন কাস্টমার সেজে দোকানে প্রবেশ করে বিভিন্ন গহনা দেখার নামে সময়ক্ষেপণ করে। এরপরই মূল দল অস্ত্রসহ দোকানে ঢুকে মালিক রবীন্দ্র দত্ত ও তার ভাতিজা পলাশ দত্তকে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার লুট করে।

ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার সময় দোকান মালিকের চিৎকারে আশপাশের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এলে তারা এলোপাতাড়ি গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ সময় মোশারফ হোসেন গুলিবিদ্ধ হন।

ডাকাতরা দ্রুত তাদের বহনকৃত নোহা মাইক্রোবাসে পালিয়ে গেলেও এক ডাকাত মহাসড়কের দিকে দৌড়ানোর সময় স্থানীয়রা ধাওয়া করে আটক করে। পরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ জানান, পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং আটক ডাকাতকে থানায় নিয়ে যায়। ডাকাত দলের অন্য সদস্যদের ধরতে অভিযান চলছে।

আটক ডাকাতের নাম কাওসার (৩০) সে ঢাকার উত্তর খান চানপাড়া এলাকার আবুল বাসারের ছেলে। পুলিশ দ্রুতই বাকী ডাকাতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের স্ত্রীর কারাদণ্ডদুদকের মামলায়

মিয়াবাজারে স্বর্ণের দোকানে সশস্ত্র ডাকাতি, গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ী, আটক ১

আপডেট সময় ১১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

হোসাইন মামুন স্টাফ রিপোর্টার

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজারে এক সশস্ত্র ডাকাতদল ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ করে প্রীতি জুয়েলার্স নামের স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি চালিয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে বিসমিল্লাহ টেলিকমের মালিক মোশারফ হোসেন গুরুতর আহত হন। তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তার অস্ত্রোপচার চলছিল।

ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে এক ডাকাতকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত ৮টার দিকে এশার নামাজ চলাকালে ৮-১০ জনের একদল সশস্ত্র ডাকাত নোহা মাইক্রোবাসযোগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মিয়াবাজার মসজিদ মার্কেটের নিচতলায় অবস্থিত প্রীতি জুয়েলার্সে হানা দেয়।

প্রথমে দুইজন কাস্টমার সেজে দোকানে প্রবেশ করে বিভিন্ন গহনা দেখার নামে সময়ক্ষেপণ করে। এরপরই মূল দল অস্ত্রসহ দোকানে ঢুকে মালিক রবীন্দ্র দত্ত ও তার ভাতিজা পলাশ দত্তকে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার লুট করে।

ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার সময় দোকান মালিকের চিৎকারে আশপাশের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এলে তারা এলোপাতাড়ি গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ সময় মোশারফ হোসেন গুলিবিদ্ধ হন।

ডাকাতরা দ্রুত তাদের বহনকৃত নোহা মাইক্রোবাসে পালিয়ে গেলেও এক ডাকাত মহাসড়কের দিকে দৌড়ানোর সময় স্থানীয়রা ধাওয়া করে আটক করে। পরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ জানান, পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং আটক ডাকাতকে থানায় নিয়ে যায়। ডাকাত দলের অন্য সদস্যদের ধরতে অভিযান চলছে।

আটক ডাকাতের নাম কাওসার (৩০) সে ঢাকার উত্তর খান চানপাড়া এলাকার আবুল বাসারের ছেলে। পুলিশ দ্রুতই বাকী ডাকাতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।