ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মিরপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অভিযানে ১০০ একর জায়গা উদ্ধার Logo র‌্যাব সদস্যদের অতীত ভুলে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান,স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার Logo বুধবার ‘মার্চ টু ঢাকা’, ৭ দফা দাবি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের Logo দূষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পরিবেশ রক্ষায় তরুণদের আরো সক্রিয় হতে হবে,পরিবেশ উপদেষ্টা  Logo চৌদ্দগ্রামে বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’র কমিটি পুনর্গঠন সভাপতি রিয়াজ সম্পাদক নিজাম Logo চৌদ্দগ্রামে “প্রায়োগিক পরীক্ষণ মাঠে বিনা মুগ-৮ ও বারি মুগ-২ এর মূল্যায়ণ” শীর্ষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অডিও-ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণে কাজ করবে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ : তথ্য সচিব Logo চা শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ার আহ্বান: শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা Logo হিঙ্গুলা হাছানিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ

অনুদানে অদক্ষরা- বঞ্চিত হচ্ছে গুণীরা, ক্ষতিগ্রস্ত সিনেমাশিল্প

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৩:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪
  • ৩৪ বার পড়া হয়েছে

শাহাজালাল উজ্জ্বল স্টাফ রিপোর্টার

স্বজনপ্রীতি, রাজনৈতিক প্রভাব, উচ্চমাত্রার লবিং, দুর্নীতির আশ্রয়সহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র। যার কারণে অনুদান প্রথা নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পের মানুষদের ক্ষোভ এখন সাধারণ মানুষের গন্ডি পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। সৃজনশীল, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ও জীবনমুখী সিনেমার নির্মাণে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার অনুদান দিয়ে আসলেও অভিযোগের কাঠগড়া থেকে বেরিয়ে কলুষমুক্ত হতে পারেনি চলচ্চিত্রের সরকারি অনুদান। অযোগ্য, আনকোরা, আনাড়িরা রাজনৈতিক বিবেচনার পাশাপাশি স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে অনুদান পেয়ে যাচ্ছে বলে সরকারের নানা উন্নয়নের মাঝেও নানা বিতর্কের সৃষ্টি করেছে অনুদান প্রথা। সিনেমার সাথে সংশ্লিষ্টরা অনুদান না পেয়ে রাজনৈতিক প্রভাবে ও এমপি মন্ত্রীদের কাছের মানুষ হিসেবে গত কয়েক বছর যাবত অনুদান পাচ্ছে চলচ্চিত্র অঙ্গনের বাইরের মানুষেরা। ফলশ্রুতিতে অনুদান নিয়ে সরকারের আশা-আকাঙখার প্রতিফলন ঘটছে না। সিনেমা নির্মাণ তো দূরে থাক চলচ্চিত্র নির্মাণের সূতিকাগারখ্যাত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) আঙ্গিনায় জীবনেও প্রবেশ করেনি এমন আনাড়িরা যখন উচ্চমাত্রার লবিংয়ে অনুদান পেয়ে যাচ্ছে তখন অনুদানের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠাটাই স্বাভাবিক। জীবন, যৌবন সব উজাড় করে গত কয়েক দশক চলচ্চিত্রের সাথে সম্পৃক্ত থেকে জীবনমুখী ও ব্যবসাসফল নির্মাতারা যখন অনুদান না পেয়ে রাজনৈতিক প্রভাবে রাম, শ্যাম,যদু,মধু অনুদান পেয়ে যাচ্ছেন তখন সরকারের এই প্রকল্প সিনেমার মানুষ এবং সিনেমাপ্রেমী সাধারণ মানুষের কাঠগড়ায় দাঁড়াবে এটাই স্বাভাবিক। এ নিয়ে পত্র-পত্রিকায় বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশ হয়ে থাকলেও এখন পর্যন্ত সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিদের টনক নড়েনি। যার কারণে এফডিসির অভ্যন্তরে মাথা ঠুকে মরছেন আজীবন চলচ্চিত্রের সাথে কাটিয়ে দেওয়া যোগ্য নির্মাতারা। চলচ্চিত্র শিল্পে মেধা ও সৃজনশীলতায় উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ১৯৭৬ সাল থেকে সিনেমা নির্মাণের জন্য প্রতি বছর সরকারি অনুদান দেয়া হয়ে থাকে। মাঝে কয়েক বছর বন্ধ থাকলেও ২০০৭-২০০৮ অর্থবছর থেকে আবারও তা নিয়মিত হয়। চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য অনুদান দেয়ার জন্যও সম্প্রতি চলচ্চিত্র আহ্বান করেছে সরকার। আর চলতি বছরের অনুদান আহবান করার ঘোষণার পর থেকে অযোগ্যরা মন্ত্রণালয়ে লম্ফঝম্ফ শুরু করে দিয়েছেন। বরাবরের মতো এবারও যদি যোগ্যরা অনুদান থেকে বঞ্চিত হয় তাহলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এমন আশংকা প্রকাশ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সৃজনশীল ও গুনী নির্মাতা। কাদের, কী কারণে এবং কোন পদ্ধতিতে অনুদানের জন্য মনোনীত করা হয়? এমন সব প্রশ্নও সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিদের দিকে ছুঁড়ে দিয়েছেন আপাদমস্তক সিনেমার মানুষেরা। নিয়মানুযায়ি সরকারি অনুদানের জন্য অন্যতম প্রধান শর্ত থাকে, অনুদানের প্রথম চেক প্রাপ্তির ৯ মাসের মধ্যে ছবির কাজ শেষ করতে হবে। তবে বিশেষ অবস্থায় অনুরোধ সাপেক্ষে পরিচালক ওই সময় বৃদ্ধি করতে পারেন। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেকে নির্মাণের জন্য বছরের পর বছর পার করছেন বলে অভিযোগ। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক শ্রেণির কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশের কারণে এ ধরনের কাজ করে অনেক পরিচালক-প্রযোজক পার পেয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। যার কারণে নির্মাতা বা প্রযোজকদের কোনো ধরনের জবাবদিহি করতে হয় না। সর্বশেষ টোকন ঠাকুরসহ বেশ কয়েকজন নির্মাতার নামে মামলাও হয়। টোকন ঠাকুর ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরে ‘কাঁটা’ নামে একটি সিনেমার জন্য সরকারি অনুদান পান। কিন্তু গত এক যুগেও তিনি তার সেই সিনেমা শেষ করতে পারেননি। তাই অনুদানের অনিয়ম ও অস্বচ্ছতার অবসান চেয়ে বহুবার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পর্ষদের নেতারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গুনী নির্মাতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দুষিত রাজনীতির প্রভাব খাটিয়ে রাষ্ট্রের সকল শাখা প্রশাখা লুন্ঠন করে এখন চলচ্চিত্রশিল্পের প্রতি শকুনের নজর দিয়েছে রাজনৈতিক দোষে দুষ্ট নানা দুর্নীতিবাজরা। কথিত রয়েছে প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে মন্ত্রী, এমপি পর্যন্ত এই কুচক্রীদের বিশেষ সম্পর্ক ও যোগাযোগ থাকার কারণে বিগত কয়েক বছর সিনেমাশিল্পের অনুদান তার স্বচ্ছতা হারিয়েছে। ফলে চলচ্চিত্রশিল্পও তার স্বকীয়তা হারাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে বিশেষ উপঢৌকন দিয়েই দুর্নীতিবাজরা তাদের স্বার্থ হাসিল করে থাকেন। অন্যদিকে, অনুদানের চেক পাওয়ার নয় মাসের মধ্যে একটি সিনেমা তথ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে বলা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে কারও দেরি হলে তারা যুক্তিসঙ্গত কারণে দেখালে মেয়াদ বাড়াতে পারে। কিন্তু কয়েক বছর আগে অনুদান পেয়েছেন কিন্তু এখনো সিনেমার কাজ শেষ করতে পারেননি- এমন উদাহরণ অনেক আছে। এছাড়া, বিগত এক দশকে সরকারি অনুদানের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। অনুদানের অর্থ আত্মসাৎ করে দেওয়ার পরে সংবাদ মাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হলেও সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল অদৃশ্য যাদুর প্রভাবে কোন প্রকার আইনী পদক্ষেপ না নিয়ে নীরবতা পালন করে যাওয়াতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিদের দিকেও অভিযোগের তীর ছুঁড়েছেন সিনেমা অঙ্গনের মানুষেরা। সরকারি অনুদানের অর্থ আত্মসাৎ করে আয়েশি জীবন যাপন করে ফুলে ফেঁপে এরই মধ্যে একজন তথাকথিত নির্মাতা প্রয়াত হওয়ার পর জীবিত দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে সিনেমার মানুষেরা জোর দাবি জানালেও কোন এক অদৃশ্য কারণে তারা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে। অনুদানের সাইনবোর্ডে সিনেমাশিল্পের ভরাডুবির পাশাপাশি প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের মদদে সরকারি অর্থ তথা জনগণের অর্থ কতিপয় অদক্ষ, অযোগ্য ও দুর্নীতিবাজদের পকেটে চলে যাচ্ছে। নিয়মের দোহাই দিয়ে অনুদান প্রথা চালু রাখলেও ভেতরে ভেতরে অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়েছে সরকারের এই প্রকল্পটি। গত বছর মুক্তি পাওয়া ‘আশীর্বাদ’ নামে একটি সিনেমার জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬০ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পেয়েছিলেন জেনিফার ফেরদৌস নামে এক উঠতি প্রযোজক। সেটি মুক্তির আগে ওই সিনেমার নায়িকা মাহিয়া মাহি প্রযোজক এবং তার অনুদান পাওয়া নিয়ে বেশকিছু অভিযোগ তোলেন।
মাহি গত বছর একটি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, প্রযোজক জেনিফার ৬০ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছেন, কিন্তু তিনি ২০ লাখ টাকাও খরচ করেননি। এছাড়া সিনেমা প্রযোজনার পূর্ব অভিজ্ঞতাও নেই জেনিফারের। তিনি একসময় ছাত্রলীগ করতেন, সেই প্রভাব খাটিয়ে রাজনৈতিকভাবে জেনিফার সরকারি অনুদান নিয়েছেন বলে নানা মহলে গুঞ্জন ওঠে। জেনিফারের মতো অদক্ষ, অপেশাদার ও আনকোরারা যখন অনুদান পেয়ে যায় তখন সেই অনুদান জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করবে সেটা সহজেই অনুমেয়।
এদিকে, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬৫ লাখ টাকা অনুদান পান দেশের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। একই বছর অনুদান পান তার সাবেক স্ত্রী অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসও। নানা প্রশ্ন ওঠে এই দুই তারকার অনুদান পাওয়া নিয়েও। শাকিব-অপু দুজনেই বেশ বিত্তশালী। তারা কীভাবে সরকারি অনুদান পান বা নেন, এই নিয়ে এখনো আড়ালে আবডালে চলছে নানা ধরনের কানাঘুষা।
শত দোষে দুষ্ট অনুদান প্রথা নিয়ে মুখ খুলেছেন গুনী নির্মাতারা। তাদের ক্ষোভ তুলে ধরেছেন এই প্রতিবেদকের কাছে-
নির্মাতা এফ আই মানিক বলেন, আসলে অনুদান যে কারণে দেয়া হয় সেটা হচ্ছে যে সুন্দর একটা গল্প, ভালো যারা নির্মাতা তারা সিনেমা গুলো নির্মাণ করবে। আমাদের মূল ধারার যে নির্মাতারা ইন্ডাস্ট্রিটা তৈরি করেছে তারা অধিকাংশ ইন্ডাস্ট্রি থেকে বিদায় নিয়েছে, কেউ দুনিয়া থেকে চলে গেছে। তবে এখনো যারা অবস্থান করছে তারা কিন্তু সিনেমা বানাচ্ছে না, কারন আমাদের প্রদর্শনের অবস্থাটা ভালো না। সরকার যেহেতু অনুদান প্রথাটা চালু করেছে একটা টীম তৈরি করে দেয়া উচিৎ যারা চলে গেছে তারা কেন সিনেমা বানাচ্ছে না তা জানা, তাদের ফিরিয়ে আনা। তাদের কাছে অনেক ভালো ভালো গল্প আছে, গল্প গুলো যাচাই বাছাই করে তাদের দিয়ে সিনেমা গুলো নির্মাণ করানো।
কিন্তু এখানে যে সিস্টেম, এখানে মূল ধারার কোন নির্মাতাকে দিয়ে সেরকম সিনেমা নির্মাণ হচ্ছে না। ইন্ডাস্ট্রিতে যাদের অবদান আছে তাদের সাথে কোন যোগাযোগ নেই। তাদের একটা অভিমান ও কাজ করে এই সিস্টেমে কেন অনুদান দেয়া হয়। প্রপার সাবজেক্ট এবং প্রপার মেকার দিয়ে সিনেমা বানাতে হবে। এখানে কোনো যাচাই বাছাই হচ্ছে না।
এখনো সময় আছে, অনুদানের টাকা গুলো সঠিক উপায়ে ব্যবহার করা। একটা টীম হওয়া উচিৎ, যাদের অভিজ্ঞতা আছে, যারা যাচাই বাছাই করতে পারবে। কিন্তু সেই ধরনের কোনো সুযোগ নেই। তবে এখনো সময় আছে, একটা নিরপেক্ষ অনুদান কমিটি হওয়া উচিত। বিভিন্ন কথা শোনা যায়, যোগ্য নির্মাতাদের যোগ্য গল্পে অনুদান দেয়া হয়না। এতো সিনেমা দেয়ার প্রয়োজন নেই। দেখেশুনে ১০টা সিনেমা দিলেই হবে। ভালো সিনেমা হলে নতুন নতুন হল ও তৈরি হবে। ইন্ডাস্ট্রিতে যাদের অবদান আছে তাদেরকে কাজের ভেতরে রাখা হবে।
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাবেক সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, অনুদান নিয়ে যেই বিতর্ক উঠেছে সেটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায়না। সর্ষের ভেতরেই যদি ভূত থাকে তাহলে সেই ভূত তাড়ানো কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। সংশ্লিষ্ট মহল যতদিন পর্যন্ত সৎ না হবে, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির আশ্রয় যতদিন বন্ধ না হবে ততদিন পর্যন্ত অনুদানের নামে এই দুর্নীতি চলতেই থাকবে। অতএব সর্ষের ভূতটা আগে তাড়াতে হবে। আর অনুদান কমিটিতেও সৎ ও যোগ্যদের রাখতে হবে। না হলে এই অবস্থা থেকে উত্তরণের আর কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই।
গিয়াস উদ্দিন সেলিম বলেন, অনুদানে স্বচ্ছতা আনার জন্য ও সিনেমাশিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নে সরকারের প্রশংসনীয় ভূমিকা ইতিবাচক ভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অনুদান প্রথার জন্য একটি শক্তিশালী ও গঠনমূলক নীতিমালা দরকার। কারা অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবে, সিনেমার সাথে তাদের সম্পৃক্ততা কত বছরের আর চলচ্চিত্রশিল্পে অবদানই বা কতটুকু এসব নানা বিষয় সম্বলিত নীতিমালা থাকলে অনেক অযোগ্যরা এমনিতেই হারিয়ে যাবে। তবে, প্রশাসনের মানুষগুলো সৎ না হলে কোনো নীতিমালাই কাজে আসবে না। আইনের পাশাপাশি প্রয়োগ না হলে অবস্থা থাকবে ” যেই লাউ সেই কদু”র মতো।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মিরপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অভিযানে ১০০ একর জায়গা উদ্ধার

অনুদানে অদক্ষরা- বঞ্চিত হচ্ছে গুণীরা, ক্ষতিগ্রস্ত সিনেমাশিল্প

আপডেট সময় ০৩:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪

শাহাজালাল উজ্জ্বল স্টাফ রিপোর্টার

স্বজনপ্রীতি, রাজনৈতিক প্রভাব, উচ্চমাত্রার লবিং, দুর্নীতির আশ্রয়সহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র। যার কারণে অনুদান প্রথা নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পের মানুষদের ক্ষোভ এখন সাধারণ মানুষের গন্ডি পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। সৃজনশীল, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ও জীবনমুখী সিনেমার নির্মাণে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার অনুদান দিয়ে আসলেও অভিযোগের কাঠগড়া থেকে বেরিয়ে কলুষমুক্ত হতে পারেনি চলচ্চিত্রের সরকারি অনুদান। অযোগ্য, আনকোরা, আনাড়িরা রাজনৈতিক বিবেচনার পাশাপাশি স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে অনুদান পেয়ে যাচ্ছে বলে সরকারের নানা উন্নয়নের মাঝেও নানা বিতর্কের সৃষ্টি করেছে অনুদান প্রথা। সিনেমার সাথে সংশ্লিষ্টরা অনুদান না পেয়ে রাজনৈতিক প্রভাবে ও এমপি মন্ত্রীদের কাছের মানুষ হিসেবে গত কয়েক বছর যাবত অনুদান পাচ্ছে চলচ্চিত্র অঙ্গনের বাইরের মানুষেরা। ফলশ্রুতিতে অনুদান নিয়ে সরকারের আশা-আকাঙখার প্রতিফলন ঘটছে না। সিনেমা নির্মাণ তো দূরে থাক চলচ্চিত্র নির্মাণের সূতিকাগারখ্যাত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) আঙ্গিনায় জীবনেও প্রবেশ করেনি এমন আনাড়িরা যখন উচ্চমাত্রার লবিংয়ে অনুদান পেয়ে যাচ্ছে তখন অনুদানের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠাটাই স্বাভাবিক। জীবন, যৌবন সব উজাড় করে গত কয়েক দশক চলচ্চিত্রের সাথে সম্পৃক্ত থেকে জীবনমুখী ও ব্যবসাসফল নির্মাতারা যখন অনুদান না পেয়ে রাজনৈতিক প্রভাবে রাম, শ্যাম,যদু,মধু অনুদান পেয়ে যাচ্ছেন তখন সরকারের এই প্রকল্প সিনেমার মানুষ এবং সিনেমাপ্রেমী সাধারণ মানুষের কাঠগড়ায় দাঁড়াবে এটাই স্বাভাবিক। এ নিয়ে পত্র-পত্রিকায় বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশ হয়ে থাকলেও এখন পর্যন্ত সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিদের টনক নড়েনি। যার কারণে এফডিসির অভ্যন্তরে মাথা ঠুকে মরছেন আজীবন চলচ্চিত্রের সাথে কাটিয়ে দেওয়া যোগ্য নির্মাতারা। চলচ্চিত্র শিল্পে মেধা ও সৃজনশীলতায় উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ১৯৭৬ সাল থেকে সিনেমা নির্মাণের জন্য প্রতি বছর সরকারি অনুদান দেয়া হয়ে থাকে। মাঝে কয়েক বছর বন্ধ থাকলেও ২০০৭-২০০৮ অর্থবছর থেকে আবারও তা নিয়মিত হয়। চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য অনুদান দেয়ার জন্যও সম্প্রতি চলচ্চিত্র আহ্বান করেছে সরকার। আর চলতি বছরের অনুদান আহবান করার ঘোষণার পর থেকে অযোগ্যরা মন্ত্রণালয়ে লম্ফঝম্ফ শুরু করে দিয়েছেন। বরাবরের মতো এবারও যদি যোগ্যরা অনুদান থেকে বঞ্চিত হয় তাহলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এমন আশংকা প্রকাশ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সৃজনশীল ও গুনী নির্মাতা। কাদের, কী কারণে এবং কোন পদ্ধতিতে অনুদানের জন্য মনোনীত করা হয়? এমন সব প্রশ্নও সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিদের দিকে ছুঁড়ে দিয়েছেন আপাদমস্তক সিনেমার মানুষেরা। নিয়মানুযায়ি সরকারি অনুদানের জন্য অন্যতম প্রধান শর্ত থাকে, অনুদানের প্রথম চেক প্রাপ্তির ৯ মাসের মধ্যে ছবির কাজ শেষ করতে হবে। তবে বিশেষ অবস্থায় অনুরোধ সাপেক্ষে পরিচালক ওই সময় বৃদ্ধি করতে পারেন। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেকে নির্মাণের জন্য বছরের পর বছর পার করছেন বলে অভিযোগ। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক শ্রেণির কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশের কারণে এ ধরনের কাজ করে অনেক পরিচালক-প্রযোজক পার পেয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। যার কারণে নির্মাতা বা প্রযোজকদের কোনো ধরনের জবাবদিহি করতে হয় না। সর্বশেষ টোকন ঠাকুরসহ বেশ কয়েকজন নির্মাতার নামে মামলাও হয়। টোকন ঠাকুর ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরে ‘কাঁটা’ নামে একটি সিনেমার জন্য সরকারি অনুদান পান। কিন্তু গত এক যুগেও তিনি তার সেই সিনেমা শেষ করতে পারেননি। তাই অনুদানের অনিয়ম ও অস্বচ্ছতার অবসান চেয়ে বহুবার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পর্ষদের নেতারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গুনী নির্মাতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দুষিত রাজনীতির প্রভাব খাটিয়ে রাষ্ট্রের সকল শাখা প্রশাখা লুন্ঠন করে এখন চলচ্চিত্রশিল্পের প্রতি শকুনের নজর দিয়েছে রাজনৈতিক দোষে দুষ্ট নানা দুর্নীতিবাজরা। কথিত রয়েছে প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে মন্ত্রী, এমপি পর্যন্ত এই কুচক্রীদের বিশেষ সম্পর্ক ও যোগাযোগ থাকার কারণে বিগত কয়েক বছর সিনেমাশিল্পের অনুদান তার স্বচ্ছতা হারিয়েছে। ফলে চলচ্চিত্রশিল্পও তার স্বকীয়তা হারাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে বিশেষ উপঢৌকন দিয়েই দুর্নীতিবাজরা তাদের স্বার্থ হাসিল করে থাকেন। অন্যদিকে, অনুদানের চেক পাওয়ার নয় মাসের মধ্যে একটি সিনেমা তথ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে বলা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে কারও দেরি হলে তারা যুক্তিসঙ্গত কারণে দেখালে মেয়াদ বাড়াতে পারে। কিন্তু কয়েক বছর আগে অনুদান পেয়েছেন কিন্তু এখনো সিনেমার কাজ শেষ করতে পারেননি- এমন উদাহরণ অনেক আছে। এছাড়া, বিগত এক দশকে সরকারি অনুদানের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। অনুদানের অর্থ আত্মসাৎ করে দেওয়ার পরে সংবাদ মাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হলেও সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল অদৃশ্য যাদুর প্রভাবে কোন প্রকার আইনী পদক্ষেপ না নিয়ে নীরবতা পালন করে যাওয়াতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিদের দিকেও অভিযোগের তীর ছুঁড়েছেন সিনেমা অঙ্গনের মানুষেরা। সরকারি অনুদানের অর্থ আত্মসাৎ করে আয়েশি জীবন যাপন করে ফুলে ফেঁপে এরই মধ্যে একজন তথাকথিত নির্মাতা প্রয়াত হওয়ার পর জীবিত দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে সিনেমার মানুষেরা জোর দাবি জানালেও কোন এক অদৃশ্য কারণে তারা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে। অনুদানের সাইনবোর্ডে সিনেমাশিল্পের ভরাডুবির পাশাপাশি প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের মদদে সরকারি অর্থ তথা জনগণের অর্থ কতিপয় অদক্ষ, অযোগ্য ও দুর্নীতিবাজদের পকেটে চলে যাচ্ছে। নিয়মের দোহাই দিয়ে অনুদান প্রথা চালু রাখলেও ভেতরে ভেতরে অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়েছে সরকারের এই প্রকল্পটি। গত বছর মুক্তি পাওয়া ‘আশীর্বাদ’ নামে একটি সিনেমার জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬০ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পেয়েছিলেন জেনিফার ফেরদৌস নামে এক উঠতি প্রযোজক। সেটি মুক্তির আগে ওই সিনেমার নায়িকা মাহিয়া মাহি প্রযোজক এবং তার অনুদান পাওয়া নিয়ে বেশকিছু অভিযোগ তোলেন।
মাহি গত বছর একটি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, প্রযোজক জেনিফার ৬০ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছেন, কিন্তু তিনি ২০ লাখ টাকাও খরচ করেননি। এছাড়া সিনেমা প্রযোজনার পূর্ব অভিজ্ঞতাও নেই জেনিফারের। তিনি একসময় ছাত্রলীগ করতেন, সেই প্রভাব খাটিয়ে রাজনৈতিকভাবে জেনিফার সরকারি অনুদান নিয়েছেন বলে নানা মহলে গুঞ্জন ওঠে। জেনিফারের মতো অদক্ষ, অপেশাদার ও আনকোরারা যখন অনুদান পেয়ে যায় তখন সেই অনুদান জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করবে সেটা সহজেই অনুমেয়।
এদিকে, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬৫ লাখ টাকা অনুদান পান দেশের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। একই বছর অনুদান পান তার সাবেক স্ত্রী অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসও। নানা প্রশ্ন ওঠে এই দুই তারকার অনুদান পাওয়া নিয়েও। শাকিব-অপু দুজনেই বেশ বিত্তশালী। তারা কীভাবে সরকারি অনুদান পান বা নেন, এই নিয়ে এখনো আড়ালে আবডালে চলছে নানা ধরনের কানাঘুষা।
শত দোষে দুষ্ট অনুদান প্রথা নিয়ে মুখ খুলেছেন গুনী নির্মাতারা। তাদের ক্ষোভ তুলে ধরেছেন এই প্রতিবেদকের কাছে-
নির্মাতা এফ আই মানিক বলেন, আসলে অনুদান যে কারণে দেয়া হয় সেটা হচ্ছে যে সুন্দর একটা গল্প, ভালো যারা নির্মাতা তারা সিনেমা গুলো নির্মাণ করবে। আমাদের মূল ধারার যে নির্মাতারা ইন্ডাস্ট্রিটা তৈরি করেছে তারা অধিকাংশ ইন্ডাস্ট্রি থেকে বিদায় নিয়েছে, কেউ দুনিয়া থেকে চলে গেছে। তবে এখনো যারা অবস্থান করছে তারা কিন্তু সিনেমা বানাচ্ছে না, কারন আমাদের প্রদর্শনের অবস্থাটা ভালো না। সরকার যেহেতু অনুদান প্রথাটা চালু করেছে একটা টীম তৈরি করে দেয়া উচিৎ যারা চলে গেছে তারা কেন সিনেমা বানাচ্ছে না তা জানা, তাদের ফিরিয়ে আনা। তাদের কাছে অনেক ভালো ভালো গল্প আছে, গল্প গুলো যাচাই বাছাই করে তাদের দিয়ে সিনেমা গুলো নির্মাণ করানো।
কিন্তু এখানে যে সিস্টেম, এখানে মূল ধারার কোন নির্মাতাকে দিয়ে সেরকম সিনেমা নির্মাণ হচ্ছে না। ইন্ডাস্ট্রিতে যাদের অবদান আছে তাদের সাথে কোন যোগাযোগ নেই। তাদের একটা অভিমান ও কাজ করে এই সিস্টেমে কেন অনুদান দেয়া হয়। প্রপার সাবজেক্ট এবং প্রপার মেকার দিয়ে সিনেমা বানাতে হবে। এখানে কোনো যাচাই বাছাই হচ্ছে না।
এখনো সময় আছে, অনুদানের টাকা গুলো সঠিক উপায়ে ব্যবহার করা। একটা টীম হওয়া উচিৎ, যাদের অভিজ্ঞতা আছে, যারা যাচাই বাছাই করতে পারবে। কিন্তু সেই ধরনের কোনো সুযোগ নেই। তবে এখনো সময় আছে, একটা নিরপেক্ষ অনুদান কমিটি হওয়া উচিত। বিভিন্ন কথা শোনা যায়, যোগ্য নির্মাতাদের যোগ্য গল্পে অনুদান দেয়া হয়না। এতো সিনেমা দেয়ার প্রয়োজন নেই। দেখেশুনে ১০টা সিনেমা দিলেই হবে। ভালো সিনেমা হলে নতুন নতুন হল ও তৈরি হবে। ইন্ডাস্ট্রিতে যাদের অবদান আছে তাদেরকে কাজের ভেতরে রাখা হবে।
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাবেক সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, অনুদান নিয়ে যেই বিতর্ক উঠেছে সেটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায়না। সর্ষের ভেতরেই যদি ভূত থাকে তাহলে সেই ভূত তাড়ানো কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। সংশ্লিষ্ট মহল যতদিন পর্যন্ত সৎ না হবে, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির আশ্রয় যতদিন বন্ধ না হবে ততদিন পর্যন্ত অনুদানের নামে এই দুর্নীতি চলতেই থাকবে। অতএব সর্ষের ভূতটা আগে তাড়াতে হবে। আর অনুদান কমিটিতেও সৎ ও যোগ্যদের রাখতে হবে। না হলে এই অবস্থা থেকে উত্তরণের আর কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই।
গিয়াস উদ্দিন সেলিম বলেন, অনুদানে স্বচ্ছতা আনার জন্য ও সিনেমাশিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নে সরকারের প্রশংসনীয় ভূমিকা ইতিবাচক ভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অনুদান প্রথার জন্য একটি শক্তিশালী ও গঠনমূলক নীতিমালা দরকার। কারা অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবে, সিনেমার সাথে তাদের সম্পৃক্ততা কত বছরের আর চলচ্চিত্রশিল্পে অবদানই বা কতটুকু এসব নানা বিষয় সম্বলিত নীতিমালা থাকলে অনেক অযোগ্যরা এমনিতেই হারিয়ে যাবে। তবে, প্রশাসনের মানুষগুলো সৎ না হলে কোনো নীতিমালাই কাজে আসবে না। আইনের পাশাপাশি প্রয়োগ না হলে অবস্থা থাকবে ” যেই লাউ সেই কদু”র মতো।