দীর্ঘ ১২ মাস ২ দিন কারাভোগের পর ৬৯টি মামলায় জামিন পেয়ে মুক্তি পেলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সাবেক সেক্রেটারি শাহ মো. মিজানুর রহমান। সোমবার (৩ মার্চ) সকালে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
মুক্তির পর শাহ মিজানকে স্বাগত জানাতে দলীয় নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল ও গাড়ির শোভাযাত্রা বের করেন। বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের কাশিনগর সেক্রেটারি মাওলানা শাহ আলম।
মাওলানা শাহ আলম জানান, ২০২৪ সালের ২ মার্চ আলোচিত চৌদ্দগ্রামের বাসে আগুন দিয়ে ৮ জনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় শাহ মিজানুর রহমানকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেওয়া হয়, যা তিনি ‘মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক’ বলে দাবি করেছেন।
শাহ মিজানের মুক্তিকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে নেতাকর্মীদের ভিড় দেখা যায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি হোসাইন আহম্মেদ, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বেলাল হোসাইন, কাশিনগর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা শাহ আলমসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
মুক্তির পর নেতাকর্মীদের বিপুল শোভাযাত্রার মাধ্যমে শাহ মিজানকে কাশিনগর বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তাকে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সংক্ষিপ্ত পথসভায় শাহ মিজানুর রহমান বলেন,
“চৌদ্দগ্রামে বাসে আগুনের ঘটনায় আমার তিন ভাইকেও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তবে এখন জুলুমের সময় শেষ, ইনশাআল্লাহ চৌদ্দগ্রামের জনগণ তাদের হারানো অধিকার ফিরে পাবে। প্রিয় নেতা ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা চৌদ্দগ্রামকে নতুনভাবে গড়ে তুলব।”
এ সময় কাশিনগর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মহাসিন কবিরের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কাশিনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, শ্রমিক কল্যাণের সহ-সভাপতি হাজী আবুল কাশেম, ইউনিয়ন যুব বিভাগের সভাপতি ইয়াকুব আলীসহ অনেকে।
শাহ মিজানের মুক্তিতে তার সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে।