ঢাকা , সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চৌদ্দগ্রাম বিএনপির সম্মেলনে আবদুর রাজ্জাক রাশেদের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মনোনয়ন সংগ্রহ Logo উদয়ন সংগীত একাডেমীর পাঁচ বছর পূর্তি উদযাপন Logo চৌদ্দগ্রামে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত Logo ফরিদ আহমেদ শাহিন –সংগ্রামী জীবনের প্রতীক, প্রবাসেও যিনি লড়েছেন ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে Logo বিএনপি’র পৌরসভা দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী আমিনুল ইসলাম ছুটু Logo দোহা ভাই ,অসংখ্য মানুষের ভালোবাসায় বেঁচে থাকা এক গুণী মানুষ Logo চৌদ্দগ্রামে ত্যাগী নেতা আবদুর রাজ্জাক রাশেদ: বিএনপির নির্ভরযোগ্য ভরসা Logo গরিব দুঃখীর আপনজন, বিএনপি’র ফারুক ভাই: এক নিঃস্বার্থ সমাজসেবকের গল্প Logo চৌদ্দগ্রামে সাংবাদিক মামুনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া-মিলাদ অনুষ্ঠিত Logo চৌদ্দগ্রামে বিনাধান-১৯, ২১ ও ব্রি ধান-৪৮ এর মূল্যায়ন শীর্ষক মাঠ দিবস পালিত

র‍্যাব হেডকোয়ার্টারের সামনে জুলাই মঞ্চের শহীদি মার্চ কর্মসূচি পালন

গণহত্যার বিচার, গণহত্যায় জড়িত আওয়ামিলীগ, যুবলীগ সহ অঙ্গ সংগঠনসমূহ নিষিদ্ধ ঘোষণা, গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের মুখোমুখি করার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে জুলাই মঞ্চ। গত ১৮ ফেব্রুয়ারী থেকে শাহবাগে শুরু হয় এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে জুলাই মঞ্চ। আশুলিয়ায় জুলাই আন্দোলনে ৭ জনের লাশ পুড়ানোর ঘটনায় ১০ মার্চ আশুলিয়া থানার সামনে প্রথম শহিদী মার্চ পালন করে জুলাই মঞ্চ। বিগত ১৬ বছরে র‍্যাবের যেসকল সদস্য গুম খুন ও ক্রসফায়ারের সাথে জড়িত তাদের বিচারের দাবিতে আজকে শুক্রবার র‍্যাব হেডকোয়ার্টারের সামনে দ্বিতীয় শহিদী মার্চ পালন করা হয়। বিকাল ৪ টায় উত্তরায় ‌র‍্যাব হেডকোয়ার্টারের সামনে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

শহীদি মার্চে জুলাই মঞ্চের প্রতিনিধি সাকিন হোসাইন বলেন,র‍্যাব বাংলাদেশের জনগণের জন্য আতঙ্কের একটি নাম। তারা এমন সব কাজ করেছে যার ফলাফল হিসেবে জাতিসংঘ ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর মত প্রতিষ্ঠান গুলো র‍্যাবকে নিষিদ্ধের পরামর্শ দিয়েছে। গুম কমিশনের তথ্য মতে ১৬ শত গুমের অভিযোগের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ১৭৩ টি গুমের অভিযোগ এসেছে র‍্যাবের বিরুদ্ধে। র‍্যাবের বর্তমান ডিজি নিজে স্বীকার করেছেন যে বিগত সময়ে র‍্যাব গুম, খুন, ক্রস্ফায়ারের সাথে জড়িত ছিলো। অথচ ৭ মাস পার হলেও এখনো র‍্যাবের যে সদস্যরা গুম খুন ক্রসফায়ারের সাথে জড়িত তাদের তালিকা প্রকাশ করেনি র‍্যাব। পাশাপাশি ২৪ এর গণ অভ্যুত্থানের র‍্যাবের যারা গণহত্যায় জড়িত হয়েছে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হয়নি। আমরা র‍্যাবকে স্পস্ট বার্তা দিয়েছি নতুন বাংলাদেশে কোন ভাবেই গুম, খুন, ক্রসফায়ার ফিরে আসতে দেওয়া হবেনা। মানবতাবিরোধী অপরাধে বাংলাদেশের শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সদস্য যেন আর কখনোই জড়িত না হয় সে আহবান জানাচ্ছি।

আরেক প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বর্তমানে প্রশাসন কোন সহযোগিতা করছে না। স্বৈরাচারের আমলে নিয়োগ পাওয়া তাদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। আওয়ামিলীগ গণহত্যায় জড়িত,তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে এবং আওয়ামিলীগ কে নিষিদ্ধ করতে হবে। গণহত্যার বিচার ও আওয়ামিলীগ কে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত জুলাই মঞ্চের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

শহীদি মার্চে সংহতি জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন,” র‍্যাব গঠন করা হয়েছিলো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কিন্ত বিগত সময়ে সরকার তাদের দলীয় বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব সদস্য খারাপ না,যারা আওয়ামিলীগের দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ কিংবা পদোন্নতি পেয়েছিল,তারাই হাসিনাকে রক্ষা করতে ছাত্র জনতার উপর গুলি চালিয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। পুরো বাহিনী কে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে র‍্যাবকে নিষিদ্ধ করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন। সবশেষ জুলাই গণঅভ্যুত্থানেও পতিত স্বৈরাচার সরকার কে র‍্যাবকে দলীয় কাজে ব্যবহার করেছে। র‍্যাবের এই কলঙ্ক মুছতে হলে র‍্যাবকে বিলুপ্ত করে নতুন কোন বাহিনী গঠন করতে হবে।

অন্তবর্তী সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা ছিলো অনেক বেশি। সংস্কারের কথা বললেও সাত মাস পেরিয়ে গেলেও ৭%সংস্কারও করতে পারে নাই। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কারের কাজ দৃশ্যমান করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হলে পুলিশকে ফাংশন করতে দিতে হবে। পুলিশ কে ফাংশন করতে না দিলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের উচিত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশকে সহযোগিতা করা।জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেসকল সদস্য জড়িতদের তাদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। ২৪ এর অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ২০০০ ছাত্র-জনতার পরিবার যতক্ষন পর্যন্ত নির্বাচন না চাইবে ততক্ষণ বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি কখনো মেনে নেওয়া হবে না। গণহত্যায় জড়িত আওয়ামিলীগ কে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া মানে জুলাই শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী।

জুলাই মঞ্চের প্রতিনিধি অর্নব হুসেইন এর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, মুতাছিরুল ইসলাম, মুন্তাজুল ইসলাম, সুরাইয়া আন্তা, আব্দুল নুর তালুকদার, মিনহাজ, ইসমাইল শান্ত, ফুহাদ হাসান প্রমুখ।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চৌদ্দগ্রাম বিএনপির সম্মেলনে আবদুর রাজ্জাক রাশেদের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মনোনয়ন সংগ্রহ

র‍্যাব হেডকোয়ার্টারের সামনে জুলাই মঞ্চের শহীদি মার্চ কর্মসূচি পালন

আপডেট সময় ০৭:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

গণহত্যার বিচার, গণহত্যায় জড়িত আওয়ামিলীগ, যুবলীগ সহ অঙ্গ সংগঠনসমূহ নিষিদ্ধ ঘোষণা, গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের মুখোমুখি করার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে জুলাই মঞ্চ। গত ১৮ ফেব্রুয়ারী থেকে শাহবাগে শুরু হয় এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে জুলাই মঞ্চ। আশুলিয়ায় জুলাই আন্দোলনে ৭ জনের লাশ পুড়ানোর ঘটনায় ১০ মার্চ আশুলিয়া থানার সামনে প্রথম শহিদী মার্চ পালন করে জুলাই মঞ্চ। বিগত ১৬ বছরে র‍্যাবের যেসকল সদস্য গুম খুন ও ক্রসফায়ারের সাথে জড়িত তাদের বিচারের দাবিতে আজকে শুক্রবার র‍্যাব হেডকোয়ার্টারের সামনে দ্বিতীয় শহিদী মার্চ পালন করা হয়। বিকাল ৪ টায় উত্তরায় ‌র‍্যাব হেডকোয়ার্টারের সামনে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

শহীদি মার্চে জুলাই মঞ্চের প্রতিনিধি সাকিন হোসাইন বলেন,র‍্যাব বাংলাদেশের জনগণের জন্য আতঙ্কের একটি নাম। তারা এমন সব কাজ করেছে যার ফলাফল হিসেবে জাতিসংঘ ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর মত প্রতিষ্ঠান গুলো র‍্যাবকে নিষিদ্ধের পরামর্শ দিয়েছে। গুম কমিশনের তথ্য মতে ১৬ শত গুমের অভিযোগের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ১৭৩ টি গুমের অভিযোগ এসেছে র‍্যাবের বিরুদ্ধে। র‍্যাবের বর্তমান ডিজি নিজে স্বীকার করেছেন যে বিগত সময়ে র‍্যাব গুম, খুন, ক্রস্ফায়ারের সাথে জড়িত ছিলো। অথচ ৭ মাস পার হলেও এখনো র‍্যাবের যে সদস্যরা গুম খুন ক্রসফায়ারের সাথে জড়িত তাদের তালিকা প্রকাশ করেনি র‍্যাব। পাশাপাশি ২৪ এর গণ অভ্যুত্থানের র‍্যাবের যারা গণহত্যায় জড়িত হয়েছে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হয়নি। আমরা র‍্যাবকে স্পস্ট বার্তা দিয়েছি নতুন বাংলাদেশে কোন ভাবেই গুম, খুন, ক্রসফায়ার ফিরে আসতে দেওয়া হবেনা। মানবতাবিরোধী অপরাধে বাংলাদেশের শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সদস্য যেন আর কখনোই জড়িত না হয় সে আহবান জানাচ্ছি।

আরেক প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বর্তমানে প্রশাসন কোন সহযোগিতা করছে না। স্বৈরাচারের আমলে নিয়োগ পাওয়া তাদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। আওয়ামিলীগ গণহত্যায় জড়িত,তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে এবং আওয়ামিলীগ কে নিষিদ্ধ করতে হবে। গণহত্যার বিচার ও আওয়ামিলীগ কে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত জুলাই মঞ্চের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

শহীদি মার্চে সংহতি জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন,” র‍্যাব গঠন করা হয়েছিলো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কিন্ত বিগত সময়ে সরকার তাদের দলীয় বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব সদস্য খারাপ না,যারা আওয়ামিলীগের দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ কিংবা পদোন্নতি পেয়েছিল,তারাই হাসিনাকে রক্ষা করতে ছাত্র জনতার উপর গুলি চালিয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। পুরো বাহিনী কে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে র‍্যাবকে নিষিদ্ধ করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন। সবশেষ জুলাই গণঅভ্যুত্থানেও পতিত স্বৈরাচার সরকার কে র‍্যাবকে দলীয় কাজে ব্যবহার করেছে। র‍্যাবের এই কলঙ্ক মুছতে হলে র‍্যাবকে বিলুপ্ত করে নতুন কোন বাহিনী গঠন করতে হবে।

অন্তবর্তী সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা ছিলো অনেক বেশি। সংস্কারের কথা বললেও সাত মাস পেরিয়ে গেলেও ৭%সংস্কারও করতে পারে নাই। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কারের কাজ দৃশ্যমান করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হলে পুলিশকে ফাংশন করতে দিতে হবে। পুলিশ কে ফাংশন করতে না দিলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের উচিত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশকে সহযোগিতা করা।জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেসকল সদস্য জড়িতদের তাদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। ২৪ এর অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ২০০০ ছাত্র-জনতার পরিবার যতক্ষন পর্যন্ত নির্বাচন না চাইবে ততক্ষণ বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি কখনো মেনে নেওয়া হবে না। গণহত্যায় জড়িত আওয়ামিলীগ কে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া মানে জুলাই শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী।

জুলাই মঞ্চের প্রতিনিধি অর্নব হুসেইন এর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, মুতাছিরুল ইসলাম, মুন্তাজুল ইসলাম, সুরাইয়া আন্তা, আব্দুল নুর তালুকদার, মিনহাজ, ইসমাইল শান্ত, ফুহাদ হাসান প্রমুখ।