ঢাকা , সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চৌদ্দগ্রাম বিএনপির সম্মেলনে আবদুর রাজ্জাক রাশেদের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মনোনয়ন সংগ্রহ Logo উদয়ন সংগীত একাডেমীর পাঁচ বছর পূর্তি উদযাপন Logo চৌদ্দগ্রামে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত Logo ফরিদ আহমেদ শাহিন –সংগ্রামী জীবনের প্রতীক, প্রবাসেও যিনি লড়েছেন ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে Logo বিএনপি’র পৌরসভা দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী আমিনুল ইসলাম ছুটু Logo দোহা ভাই ,অসংখ্য মানুষের ভালোবাসায় বেঁচে থাকা এক গুণী মানুষ Logo চৌদ্দগ্রামে ত্যাগী নেতা আবদুর রাজ্জাক রাশেদ: বিএনপির নির্ভরযোগ্য ভরসা Logo গরিব দুঃখীর আপনজন, বিএনপি’র ফারুক ভাই: এক নিঃস্বার্থ সমাজসেবকের গল্প Logo চৌদ্দগ্রামে সাংবাদিক মামুনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া-মিলাদ অনুষ্ঠিত Logo চৌদ্দগ্রামে বিনাধান-১৯, ২১ ও ব্রি ধান-৪৮ এর মূল্যায়ন শীর্ষক মাঠ দিবস পালিত

অনুদানের সিনেমা নিয়ে তামাশা

শাহাজালাল উজ্জ্বল স্টাফ রিপোর্টার

সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র নির্মাণ নিয়ে চলছে ইঁদুর বিড়াল খেলা। রাজনৈতিক প্রভাব, মন্ত্রী, এমপিদের সাথে বিশেষ সম্পর্কের কারণে দুর্নীতির আঁতুড়ঘরে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র। সরকারের উচ্চপর্যায়ের সাথে বিশেষ সম্পর্ক থাকার কারণে চলচ্চিত্রের মানুষ না হয়েও শুধুমাত্র স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে রাতারাতি চলচ্চিত্র প্রযোজক বনে যাচ্ছেন অনেকে। চলচ্চিত্রের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ও এই অঙ্গনে জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়ে দিয়েও শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রতিপত্তির কারণে সঠিক মানুষেরা অনুদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে,সরকারের অনুদান চলচ্চিত্রশিল্পে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার পরিবর্তে এই শিল্পকে দিনে দিনে ধবংশের দ্বারপ্রান্তে উপনীত করেছে।বছরের পর বছর সিনেমা মুক্তি না পাওয়া অবৈধ উপায়ে আইন অমান্য করে একই গেজেটের দুটি সিনেমার পরিচালনা করা।অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের পরিচালককে অবৈধ ভাবে হটিয়ে সিনেমা নির্মান করা। এসব যেনো বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অনুদানের নিয়মিত সঙ্গী। অথচ সুস্থধারার চলচ্চিত্র নির্মাণে উৎসাহ দিতে ১৯৭৬ সালে চালু হয় সরকারি অনুদান প্রথা।অনুদান প্রদানের শুরু থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৪৪ বছরে প্রদান করা হয়েছে ১৪১ টি চলচ্চিত্রে অনুদান। এর মধ্যে অর্ধ শতাধিক ছবি এখনো আলোর মুখ দেখেনি। কিছু ছবি আদৌ মুক্তি পাবে কি না রয়ে গেছে সন্দেহ। ১৯৭৬ সালে অনুদানের অর্থের পরিমান ছিলো আড়াই লাখ টাকা। সে বছর চারটি ছবি অনুদান পেলেও সময়মত কোন ছবি মুক্তি দিতে পারেননি নির্মাতারা। মসিহ্উদ্দিন শাকের-শেখ নিয়ামত আলীর ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’ মুক্তি পায় ১৯৭৯ সালে, বাদল রহমানের শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী’ মুক্তি পায় ১৯৮০ সালে, কবির আনোয়ারের ‘তোলপাড়’ মুক্তি পায় অনুদান পাওয়ার এক দশক পর ১৯৮৮ সালে। বেবী ইসলামের ‘মেহেরজান’ আজ পর্যন্ত মুক্তি পায়নি। ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত অনুদান প্রদান করা হয়নি। ১৯৮১-১৯৮২ অর্থবছরে চারটি ছবি অনুদান পায়—‘কলমিলতা’র জন্য শহিদুল হক খান পান পাঁচ লাখ,‘মোহনা’র জন্য আলমগীর কবির দুই লাখ, ‘বাঁধনহারা’র জন্য হাবিবুর রহমান খান ও ‘সোয়ামী’র জন্য নুরুল আলম পান আড়াই লাখ টাকা করে। চারটি ছবিই যথাসময়ে মুক্তি পেয়েছে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চৌদ্দগ্রাম বিএনপির সম্মেলনে আবদুর রাজ্জাক রাশেদের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মনোনয়ন সংগ্রহ

অনুদানের সিনেমা নিয়ে তামাশা

আপডেট সময় ০৩:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২

শাহাজালাল উজ্জ্বল স্টাফ রিপোর্টার

সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র নির্মাণ নিয়ে চলছে ইঁদুর বিড়াল খেলা। রাজনৈতিক প্রভাব, মন্ত্রী, এমপিদের সাথে বিশেষ সম্পর্কের কারণে দুর্নীতির আঁতুড়ঘরে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র। সরকারের উচ্চপর্যায়ের সাথে বিশেষ সম্পর্ক থাকার কারণে চলচ্চিত্রের মানুষ না হয়েও শুধুমাত্র স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে রাতারাতি চলচ্চিত্র প্রযোজক বনে যাচ্ছেন অনেকে। চলচ্চিত্রের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ও এই অঙ্গনে জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়ে দিয়েও শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রতিপত্তির কারণে সঠিক মানুষেরা অনুদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে,সরকারের অনুদান চলচ্চিত্রশিল্পে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার পরিবর্তে এই শিল্পকে দিনে দিনে ধবংশের দ্বারপ্রান্তে উপনীত করেছে।বছরের পর বছর সিনেমা মুক্তি না পাওয়া অবৈধ উপায়ে আইন অমান্য করে একই গেজেটের দুটি সিনেমার পরিচালনা করা।অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের পরিচালককে অবৈধ ভাবে হটিয়ে সিনেমা নির্মান করা। এসব যেনো বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অনুদানের নিয়মিত সঙ্গী। অথচ সুস্থধারার চলচ্চিত্র নির্মাণে উৎসাহ দিতে ১৯৭৬ সালে চালু হয় সরকারি অনুদান প্রথা।অনুদান প্রদানের শুরু থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৪৪ বছরে প্রদান করা হয়েছে ১৪১ টি চলচ্চিত্রে অনুদান। এর মধ্যে অর্ধ শতাধিক ছবি এখনো আলোর মুখ দেখেনি। কিছু ছবি আদৌ মুক্তি পাবে কি না রয়ে গেছে সন্দেহ। ১৯৭৬ সালে অনুদানের অর্থের পরিমান ছিলো আড়াই লাখ টাকা। সে বছর চারটি ছবি অনুদান পেলেও সময়মত কোন ছবি মুক্তি দিতে পারেননি নির্মাতারা। মসিহ্উদ্দিন শাকের-শেখ নিয়ামত আলীর ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’ মুক্তি পায় ১৯৭৯ সালে, বাদল রহমানের শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী’ মুক্তি পায় ১৯৮০ সালে, কবির আনোয়ারের ‘তোলপাড়’ মুক্তি পায় অনুদান পাওয়ার এক দশক পর ১৯৮৮ সালে। বেবী ইসলামের ‘মেহেরজান’ আজ পর্যন্ত মুক্তি পায়নি। ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত অনুদান প্রদান করা হয়নি। ১৯৮১-১৯৮২ অর্থবছরে চারটি ছবি অনুদান পায়—‘কলমিলতা’র জন্য শহিদুল হক খান পান পাঁচ লাখ,‘মোহনা’র জন্য আলমগীর কবির দুই লাখ, ‘বাঁধনহারা’র জন্য হাবিবুর রহমান খান ও ‘সোয়ামী’র জন্য নুরুল আলম পান আড়াই লাখ টাকা করে। চারটি ছবিই যথাসময়ে মুক্তি পেয়েছে।